উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার বায়না করে এসএসকেএম-এ চড়া নাটক করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মাঝরাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় চার হেভিওয়েট নেতা- সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukharjee), ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায়(Shobhan Chattopadhyay)কে। অসুস্থ বোধ করায় মঙ্গলবার ভোরে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তারপরেই চূড়ান্ত নাটক। উডবার্ন ওয়ার্ডে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছাকাছি একটি বেড তার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া আবদার জানান শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Boishskhi Benarjee)।
বিভিন্নভাবে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের উপর বৈশাখী চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাকে জানানো হয় কোনো রকম শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া যায় না। কিন্তু তারপরেও আবদার চালিয়ে যেতে থাকেন উচ্চশিক্ষিত এই মহিলা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও নাকি একই আবদার নিয়ে এক তৃণমূল নেতাকে ফোন করেছিলেন। তিনিও চান, তার কাছাকাছি কোন বেডে যেন বৈশাখীর থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-৪ নেতা-মন্ত্রীর তরফে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ হাইকোর্টে, বুধবার শুনানি
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকি যে ৩ নেতার জেল হেফাজত হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরা কিন্তু এই ধরনের কোনো আবদার করেননি।
অনেকের মতে তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কতটা কাছের তিনি সেটা দেখানোর জন্যেই এসব করছেন বৈশাখী। সোমবার, নিজাম প্ল্যালেসে শোভনকে নিয়ে যাওয়ার পরেই সেখানে পৌঁছে যান তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান। কিন্তু সর্বক্ষণ উপস্থিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে। এদিকে বৈশাখীর দাবি, তিনি সকালে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই নিজাম প্যালেস ঢুকেছিলেন। তারপর তাকে দেখা গিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আসতে। এরপর মাঝরাতে প্রেসিডেন্সি জেলের দরজা ধাক্কিয়েছেন প্রাক্তন এই কলেজ অধ্যক্ষ। চিৎকার করছেন। রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন। আর এরপর মঙ্গলবার আর এক কাঠি উপরে গিয়ে তিনি সোজাসুজি উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার বায়না ধরলেন। এ ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে সবাই হকচকিয়ে যান। পরে এই নিয়ে হাসির ফোয়ারা ছোটে।
তবে, এসব করে বৈশাখী শুধু শোভন চট্টোপাধ্যায় নন, তার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বাকি আরো তিন জনকেই সমস্যায় ফেলছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।