স্ত্রী ও ৩ নাবালিকা মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে এক দিনমজুর আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সন্দেহ। শুক্রবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) হেমতাবাদের ভরতপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতরা হলেন, রাম ভৌমিক( ৪০), তাঁর স্ত্রী শঙ্করী ভৌমিক(৩২) ও তিন মেয়ে রানি (১২), পর্ণা (৭) ও সরস্বতী(৪)। একযোগে একই পরিবারের ৫ জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য।
অভিযোগ, অভাবের তাড়নায় ওই দিনমজুর পরিবারের ৪ জনকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন।
শনিবার সকালে হেমতাবাদের বিডিও (Bdo) লক্ষীকান্ত রায় (Lakhikanta Roy) এলাকায় যান। প্রাথমিক পর্যায়ে এলাকার লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে বিডিও দাবি করেন, অনটনের কারণে পরিবারের ৪ জনকে মেরে ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তিনি জানান, পুলিশ তদন্তে নেমেছে। শীঘ্রই গোটা ঘটনার কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়ালেন চিকিৎসকরা
এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের সন্দেহ, শুক্রবার রাতে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। সেই সময়ে বন্ধ ঘরে কেরোসিন তেল ঢেলে রাম আগুন লাগিয়ে দেন। পুড়ে মৃত্যু হয় রাম, তাঁর স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়ের। ১২ বছরের রানিকে দগ্ধ অবস্থায় রায়গঞ্জ (Raiganj) গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ওই নাবালিকা জানায়, তাঁর বাবা সকলের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।









































































































































