বাংলার ওই শব্দবন্ধটা অনেকে এবার ব্যবহার করছেন… মেরে বউকে শেখানো…। শনিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সহ দুই নেতাকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।আওয়াজ উঠেছে, তাহলে এবার কে? কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে শিশির অধিকারীর নাম। আর তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, শিশিরের সাংসদ পদ খারিজ করতে লোকসভার স্পিকারের কাছে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, ঘরে বসে শিশির অধিকারী শুধু যে শুভেন্দুর সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন তাই নয়, দলবদলু শুভেন্দুকে জাস্টিফাই করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করতে কসুর করেননি। নূন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ নেই ওনার শরীরে। ফলে শিশিরের উপর তৃণমূল নেতৃত্ব যার পর নাই চটে রয়েছে। বৃদ্ধ শিশিরের রাজনীতির ইনিংস শেষ করতে একটি মহল বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতা কে? বিজেপির অন্দরেই আদি-তৎকাল প্রবল লড়াই
পূর্ব মেদিনীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান নেতা অখিল গিরি বলেন, শিশির অধিকারীর যদি লাজ-লজ্জা বলে কোনও বস্তু থাকে, তাহলে উচিত এখনই পদত্যাগ করা। বিজেপিতে যাওয়ার পর সবশুদ্ধ নিয়ে অধিকারীরা ডুবেছেন। অবিভক্ত মেদিনীপুরে ৩৫ আসনের মধ্যে ২৬ আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওনার ছেলে যে যে জেলায় গিয়ে হম্বি-তম্বি করেছে, সেসব কেন্দ্রে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে। আর শিশির অসুস্থ শরীরে বিজেপির মঞ্চে গিয়ে বড় বড় কথা বলেছিলেন। নির্লজ্জের মতো পদ আটকে না রেখে এবার পদটা ছাড়ুন।
কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’র উপর যে কালো মেঘের ছায়া বাড়ছে, অশান্তির ঝড় উঠছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।








































































































































