রাজনৈতিক হিংসায়(political violence) লাগাম টানতে এবার কড়া হাতে মাঠে নামলো প্রশাসন। সম্প্রতি দুবরাজপুরের মুক্তিনগরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল এক তৃণমূল কর্মীর(TMC workers)। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন আরো ৯জন তৃণমূল কর্মী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ১২ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল খয়রাশোল থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে একজন তৃণমূল কর্মীকেও।
সম্প্রতি,তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল শুক্রবার রাতে মুক্তিনগর গ্রামে পরিকল্পিত হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীদের। পাশাপাশি শুক্রবার রাতের পর শনিবার সকালে দুবরাজপুরের পাঁচড়া গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিস আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এক তৃণমূল কর্মীকে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে প্রশাসন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার জেরে এখনো পর্যন্ত ১২ জন বিজেপি কর্মী ও ১ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয় পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন:অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম কর মুক্ত হোক, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, একমাস ধরে চলা ভোটের পর, ২মে ফল ঘোষণা হয়েছে। যেখানে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করেছে।এরপর থেকেই রাজ্যের নানান জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বহু জায়গাতেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। অন্যদিকে ভোট-পরবর্তী হিংসাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। হিংসার একের পর এক ভুয়ো ভিডিও ও ছবি ভাইরাল করা হয়েছে বিজেপির তরফে। অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনে হারের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। যার জেরে একের পর এক ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পরিকল্পিত অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক রঙ না দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামব প্রশাসন।









































































































































