কমলদাকে জোরে কথা বলতে দেখিনি, কুণাল ঘোষের কলম

0
3

বর্ষীয়ান সাংবাদিক কমল ভট্টাচার্য করোনায় প্রয়াত। প্রণাম কমলদা।

দিনকয়েক আগেই ফোন।
আমার ভাষণ এবং টিভির বক্তব্য ভালো লাগছে। নিজে ফোন করে বললেন। আরও কিছু মতামত দিলেন। ঠিক হল ভোটের পরেই দেখা হবে।

আজ সৃষ্টি টিভির কর্ণধার অশোক আগরওয়ালের ফোন: ” সকালে কমলদা ফোন করেছিলেন। বললেন খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ভর্তি করিয়ে দিন। সেই ব্যবস্থা করে ফোন করলাম, কেউ ধরলেন না। ছেলেকে পাঠালাম কমলদার বাড়িতে। গিয়ে জানা গেল সব শেষ।”

এই খবরের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে?
কয়েকদিন অবিরাম চলছে এই ভর্তি, অক্সিজেন, ভ্যাকসিন ইত্যাদি নিয়ে ফোন, ছুটে আসা, পাঠানো, যাওয়া, অনুরোধ।
পরের পর দুঃসংবাদ।
এবার কমলদা। এভাবে।

যুগান্তরে ছিলেন। তারপর প্রতিদিন। দীর্ঘকাল দিল্লি। তারপর কলকাতা। 1996 13 দিনের সালে বাজপেয়ী সরকারের পতন ও জ্যোতি বসু কেন্দ্রিক পর্ব- দিল্লিতে কমলদা ব্যুরো চিফ। সঙ্গে অঞ্জন আর কলকাতা থেকে যাওয়া আমি। সেসব দিন অতীব বর্ণময়।

পরে কমলদা কলকাতায় দায়িত্বে। একসঙ্গে কাজ, সহমত, ভিন্নমত। কিন্তু সুসসম্পর্ক চিরকাল। বৌদি মাটির মানুষ। কন্যা শ্রীলেখা সম্ভবত লন্ডনে।

কমলদাকে একবার দাঁড় করানো হল প্রেস ক্লাবের ভোটে। তিনি নারাজ। আমাদের হুজুগ। বড় কাগজের প্রার্থীকে উড়িয়ে দিয়ে বিপুল জয় কমলদার।

মানুষটাকে কখনও জোরে কথা বলতে দেখিনি।

এখনও কোনো মিডিয়াতে কাজের মধ্যেই ছিলেন কমলদা।

কদিন আগেই ফোন-” কমলদা বলছি”;
আর আজ এইভাবে চলে যাওয়া, just নেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:বাড়ছে করোনার প্রকোপ, ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ল দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে

Advt