৫০ হাজার কোটি খরচ করে দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবন ( new parliament building ) তৈরি করা হচ্ছে। অথচ মাত্র তিরিশ হাজার কোটি খরচ pp করলেই সবাইকে নিখরচায় টিকা যেত। সেটা ওরা করল না। শনিবার কার্যত এই ভাষাতেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে (prime minister Narendra Modi)তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী (Chief minister Mamata Banerjee) পদে শপথ নেওয়ার পর শনিবার প্রথমবার বিধানসভায় (West Bengal assembly) বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন করোনাকে প্রতিহত করাই আপাতত তাঁর অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। সেই প্রতিশ্রুতির কথা তিনি এদিনও মনে করালেন। ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে নতুন সংসদ ভবন তৈরির জন্য ৫০ হাজার কোটি খরচ করা হচ্ছে সেখানে মাত্র ৩০ হাজার কোটি দিয়ে দেশবাসীর জন্য ভ্যাকসিন কেন হবে না কেন? সবাইকেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিন এর জন্য কেন্দ্র় একরকম দাম দেবে। রাজ্য সরকার একরকম দাম দেবে। আবার যারা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নেবে তারা আবার আরেক রকম দাম দেবে। এক ভ্যাকসিন নিয়ে এত ফারাক কেন? মমতা এদিন অভিযোগ করেন ভ্যাকসিন চাইছি ভ্যাকসিন দিচ্ছেনা। অক্সিজেন চাইছি তাও দিচ্ছে না। এভাবে হয় নাকি?
ভোটের সময় আমাদের বিরুদ্ধে পাইপ দিয়ে জলের স্রোত বইয়ে দেওয়ার মতো যেন টাকার স্রোত বওয়ানো হয়েছে। এই টাকায় ভারতের সবাইকে নিখরচায় ভ্যাকসিন দেওয়া যেত। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যে এখন অবিলম্বে অক্সিজেন প্রয়োজন। এর আগে আমাদের প্রাপ্য অক্সিজেন অন্য রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব আমাদের অক্সিজেন প্রয়োজন। রাজ্যে এখন মেডিকেল অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা ৪৭০ মেট্রিক টন হলেও সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেই চাহিদা বেড়ে হবে ৫৫০ মেট্রিক টন। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন ঘাটতি খবর আছে। পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে আমাদের রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানো।
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যবাসীকে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন সকলকে কড়াভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতেই হবে। মাক্স পরতে হবে। ঘনঘন হাত ধুতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন সামনে ঈদ আসছে। সেই উপলক্ষে কিন্তু ৫০ জনের বেশি জমায়েত কোথাও যেন না হয়।