একুশের বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা কে? রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর পিছনে যুক্তি রয়েছে, তথ্য রয়েছে। কারণ, তিনি ২০০৬ সাল থেকে বিধায়ক। তিনি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী। এছাড়া বহু সরকারি সংস্থার শীর্ষ কর্তার দায়ভার সামলেছেন। ফলে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং জাহাজ দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী মুকুল রায়কে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছেন বছর ৫১-র শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহ ঘনিষ্ঠরা ইতিমধ্যে তাঁর নামের পাশে লালবাতি লাগিয়ে ফেলেছেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীরা অবশ্য আশা ছাড়তে রাজি নন। মুকুল রায়ের হয়ে লড়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু এই নব্য বিজেপিদের হাতে দলের পরিষদীয় দায়ভার যাওয়ার আগে আদি বিজেপি, অর্থাৎ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন, অমিতাভরা কিন্তু একবাক্যে এই প্রস্তাব মানতে রাজি নন। তাঁরা বলছেন, দলটা কি তৃণমূলের ‘বি’ টিমের হাতে হাইজ্যাক হয়ে যাবে? প্রার্থী থেকে পদ, সবই কী পাবেন দলবদলুরা? ফলে তাঁরা এবার বিকল্প নাম দিতে শুরু করেছেন। প্রশ্ন, নাড্ডা-শাহরা যদি সেই নামে সিলমোহর না দেন, তাহলে কী হতে পারে? সেক্ষত্রে আদি বিজেপির পক্ষ থেকে দলের পরিষদীয় নেতা নির্বাচনের জন্য গোপন ব্যালটে ভোটের দাবি জানানো হতে পারে। দিল্লি এই গোপন ব্যালটে ভোটের প্রস্তাব মেনে নে কিনা সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। কারণ, সিপিএমের ঢঙেই বিজেপিতেও উপর থেকে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়াই রেওয়াজ। দলের অধঃস্তন কমিটিগুলিকে সেই সিদ্ধান্ত বয়ে বেড়াতে হয়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়।
নব্য বিজেপিরা ইতিমধ্যে দলের নিশ্চিত জয় নিয়ে যেভাবে ক্যানেস্তারা পিটিয়েছিল এবং প্রত্যাশার বেলুন ফুলিয়েছিল, তা সকলে দেখেছেন। হারের পর তাদের ছটফটানি বন্ধ হয়েছে। অন্য দিকে আদি বিজেপিকে মান্যতা দেওয়ার ভাবনা আবার দিল্লির মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা হিসাবে এগিয়ে থাকলেও নিশ্চিত নন।