রাজ্যে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেলো ‘প্রাক্তন’ সাংসদের সংখ্যা৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় থেকে অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি, সবাই এখন ‘প্রাক্তণ’৷ পাশাপাশি কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরিও ‘প্রাক্তণ’৷ আর বিজেপির মোট প্রাক্তনের লিস্ট তো লম্বা৷ তালিকা এই রকম:
◾মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষ
◾রায়গঞ্জে দেবশ্রী চৌধুরি
◾আসানসোলের বাবুল সুপ্রিয়
◾বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদার
◾বাঁকুড়ায় ডাঃ সুভাষ সরকার
◾বর্ধমান-দুর্গাপুরে এস এস আলুওয়ালা
◾বারাকপুরে অর্জুন সিং
◾বিষ্ণুপুরে সৌমিত্র খাঁ
◾হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়
◾ঝাড়গ্রামে কুনার হেমব্রম
◾মালদহ উত্তরে খগেন মুর্মু
বিধানসভা ভোটের ফল বলছে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জেতা এই সাংসদরা সবাই নিজেদের কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন৷ ভোটারদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন অধীর চৌধুরি, দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরি-সহ মোট ১৩ সাংসদ৷
০১৯- এর লোকসভা ভোটে ১৮ আসনে জিতেছিলো বিজেপি, তৃণমূল পায় ২২ আসন এবং কংগ্রেস ২টি৷ একুশের বিধানসভা ভোটে ওই সাংসদদের কেন্দ্রের ফলাফলের হিসাব বলছে, বিজেপি এ বার ৯টা লোকসভা আসনে তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। ২০১৯-এর ঠিক অর্ধেক। আর তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ৩৩টা লোকসভা আসনে। দিলীপ ঘোষ ভোটপ্রচারে বলেছিলেন, “উনিশে হাফ, একুশে সাফ”। হিসাব দেখাচ্ছে, তৃণমূলের আসন বাড়লেও বিজেপি এবার ‘হাফ’ হয়ে গিয়েছে৷ ২০১৯- এর ১৮, আজ ৯-এ ঠেকেছে৷
ওদিকে, লোকসভা ভোটে তৃণমূল যে ২২টা আসন জিতেছিল, তার মধ্যে ২০টায় এ বারও এগিয়ে আছে। ‘খারাপ’ ফল শুধু আরামবাগ আর কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে৷ তৃণমূল এই দুই কেন্দ্রে এ বার পিছিয়ে গিয়েছে, অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। পাশাপাশি বিজেপি ২০১৯-এ জেতা ১৮ লোকসভা আসনের মধ্যে ১১টা একুশের ভোটে তৃণমূলের কাছে খুইয়েছে৷