করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে রেমডিসিভির ঘাটতি দেখা দিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন ব্যবহারের বিধিতে রদবদল করেছে। এই মূহূর্তে শুধুমাত্র চরম সঙ্কটজনক রোগীদের জন্যই এই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এহেন সমস্যার মুখে পড়ে দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের এই নতুন বিধিনিষেধের ফলে তাঁর ছ’টি ইঞ্জেকশন দরকার হলেও তিনি মাত্র তিনটি পেয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতিভা এম সিং বলেন কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে, আপনারা চান, মানুষ মরে যাক।”
এদিন তিনি কেন্দ্রকে নিশানা করে বিচারপতি এম সিং বলেন, “কেন্দ্রের এই বিধিনিষেধ ভুল। কোনও রকম ভাবনাচিন্তা না-করেই এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, কেন্দ্র ইঞ্জেকশনের ঘাটতি মেটাতে এই নির্দেশ জারি করেছে।” বিচারপতি একে ‘চরম অব্যবস্থা’ বলেও কটাক্ষ করেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র রেমডেসিভির রাজ্যগুলিকে ঠিকমত বিলি করছে না। এই কারণেই অক্সিজেন থেকে ইঞ্জেকশন সমস্ত কিছুর কালোবাজারি চলছে। হাই কোর্টের নির্দেশে ওই আইনজীবীর জন্য মঙ্গলবার রাতেও তিনটি ইঞ্জেকশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, শুধুমাত্র দিল্লিতেই ৫০ হাজারের বেশি ইঞ্জেকশন জোগান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দিল্লি সরকারের অভিযোগ, মাত্র ২৫০০ রেমডেসিভির মিলেছে। দিল্লিতে রেমডিসিভির দেরীতে পৌঁছানো নিয়েও আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রকে।






























































































































