লাটুরের এক শতবর্ষী- দম্পতি হেলায় হারিয়ে দিলেন করোনাকে

0
1

স্বামীর বয়স ১০৫, স্ত্রী ৯৯ বছরের৷ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন দু’জনই, প্রায় একইসঙ্গে৷ বাড়ির লোকজন স্রেফ প্রহর গুণছিলেন দুঃসংবাদ শোনার জন্য৷  কিন্তু লাতুরের এই অতিপ্রবীণ দম্পতির সঙ্গে লড়তে নেমে হেরে গেলো করোনাভাইরাস৷ সময়মত করোনা পরীক্ষা এবং মহারাষ্ট্রের বিলাসরাও দেশমুখ হাসপাতালের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংক্রমণ কাটিয়ে উঠেছেন এই দম্পতি৷ সুস্থ হয়ে ফিরেও গিয়েছেন বাড়ি৷ হাজার হাজার দুঃসংবাদের ভিড়ে এই খবর নিশ্চিতভাবেই ভরসা দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷

লাতুর জেলার কাটগাঁও টান্দা এলাকার বাসিন্দা ধেনু চৌহান (১০৫) এবং তাঁর স্ত্রী মোতাবাই চৌহান (৯৯) একইসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ছেলে সুরেশ চৌহান সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের লাতুর বিলাসরাও দেশমুখ সরকারি মেডিক্যাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। করোনাকে পরাজিত করে ৭ দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরেছেন ওই দম্পতি৷ বাড়ি ফিরে ‘সুস্থ’ ধেনু চৌহান উল্টে পরামর্শ দিয়েছেন আর পাঁচজনকে৷ বলেছেন, “করোনায় আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন৷ তবে একদমই আতঙ্কিত হবেন না। আপনিও করোনাকে পরাস্ত করতে পারেন।”

ওই হাসপাতালের ডিন, ডাঃ সুধীর দেশমুখ, ডাঃ শৈলেন্দ্র চৌহান, ডাঃ গজনান হালকানচে, এবং ডাঃ ধর্মাধিকারীর নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ড বিশেষ নজর দিয়ে এই প্রবীণ দম্পতির চিকিৎসা করেন। এবং সাত দিনের মধ্যেই সুস্থ করে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন৷ প্রবীণ এই দম্পতি এখন আর করোনাকে ভয় পাচ্ছেন না৷ করোনাকে ভয় না করে আশা বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন। ঠিকসময়ে চিকিৎসা হলে সুস্থ হওয়া সম্ভব বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

ছেলে সুরেশ বলেছেন, “যখন আমরা জানতে পারলাম বৃদ্ধ বাবা-মা দুজনেই করোনার পজেটিভ, তখন সত্যিই ভেঙ্গে পড়েছিলাম। ওই অবস্থাতেই দু’জনকে একসঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম৷ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ওনারা ছিলেন৷ সত্যি বলতে কী, আমরা আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম৷ কারন, বাবা-মায়ের অনেক বয়স৷ করোনার বলি হচ্ছেন তো বয়স্করাই৷ তবে ডাক্তারবাবুরা আশা দিয়েছিলেন এবং ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন৷ অসাধ্যসাধন করেছেন ডাক্তাররা৷ ওনাদের জন্যই মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছেন আমার মা-বাবা৷”

Advt