শান্তিতেই মিটল ‘ভোট-সপ্তমী’

0
1

সোমবার মোটের ওপর শান্তিতেই সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হল। বাংলার পাঁচ জেলার ৩৪টি আসনে শেষ হল ভোট দান পর্ব। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৫ দশমিক ০৬ শতাংশ।

এদিন ভবানীপুরে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সঙ্গে ছিলেন ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷

আসানসোলে ২৩৯ নম্বর বুথের কাছে জায়গায় তৃণমূল ক্যাম্পে রীতিমতো হানা দেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর অভিযোগ, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যেই ওখানে রান্না করছিল তৃণমূল কংগ্রেস। খাবার খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। সেখানে রান্না মাংসের পাত্রের সামনে বসেই ফোন করলেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আধিকারিকদের। ফোনে অগ্নিমিত্রা অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে বলতে থাকেন, এখানে সব বুথ স্লিপ পড়ে রয়েছে। আমাকে দেখা মাত্র ৫০ জন পালিয়ে গেল। এক্ষুনি লোক পাঠান। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও করেছে বিজেপি। এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে।

মুর্শিদাবাদ বিধানসভার ২৩৮ নম্বর বুথে ভোটারদের মাস্ক বিলি করলেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী নিয়াজুদ্দিন শেখ । এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ভোটের আগে মানুষের জীবন । তাই যাদের মাস্ক ছিল না, তাদের মাস্ক দেওয়া হয়েছে । এরপরেই ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ৷ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, মাস্কের ভিতরে টাকা বন্দি করে ভোটারদের বিলি করা হচ্ছে । পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় ।

আরও পড়ুন-‘এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ফেরত নিন, সেফ হাউস করতে পারছি না’, কমিশনকে তোপ মমতার

বুথে পোলিং এজেন্টকে সাময়িক রিলিফ দিতে গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু পথ আটকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী শুনেই কোনও কথা না বাড়িয়ে বেধড়ক মারধর শুরু হয় ৷ এমনই অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাস্থল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার ২১৭ নম্বর বুথ ৷আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ৷

শারীরিক অসুস্থতার জন্য এবার ভোট দিতে পারলেন না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটার তিনি ৷ প্রত্যেক নির্বাচনের সময় স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷ শুধুমাত্র গত লোকসভা ভোটে তিনি ভোট দিতে পারেননি ৷ আর এবার বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারলেন না তিনি ৷

সপরিবারে ভোট দিলেন কলকাতা বন্দরের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম । দুই কন্যা সহ সস্ত্রীক নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে চেতলা উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি । তিনি বলেন, ‘‘করোনার এই ভয়াবহতা বেড়েছে নির্বাচন কমিশনের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে । এত দফায় নির্বাচন করার ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে করোনার সংক্রমণ।’’

ভোট বয়কটের ফলে উত্তেজনা ছড়াল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে । পান্ডবেশ্বর বিধানসভায় সপ্তম দফার ভোট আজ ৷ পুনর্বাসন না পাওয়ায় ভোট বয়কট করলেন পাণ্ডবেশ্বরের অন্ডালের হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দারা ৷ভোট দেননি 1275 জন গ্রামবাসী ৷ তাঁরা বলেন, যতদিন না পুনর্বাসন হচ্ছে, ততদিন তাঁরা ভোট দেবেন না ৷

কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঠান্ডা পানীয় দিয়ে ছাপ্পা দিচ্ছে বিজেপি। এই অভিযোগে বুথের সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত ৬৯ নম্বর বুথে বিদ্যাসাগর স্কুলে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের দাবি তুলল তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা।

গুধিয়ার ভোটের লাইনে কংগ্রেস প্রার্থীর টাকা বিলির অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট চাইল কমিশন।

রাসবিহারী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট মোহন রাওকে বুথের ভিতর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক করল নিউ আলিপুর থানার পুলিশ।

পুনর্বাসনের দাবিতে ভোট বয়কট রানিগঞ্জ বিধানসভার হরিশপুর গ্রামে।

আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার রানিগঞ্জের ২৩৮ নম্বর বুথে তৃণমূলের বুথ অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। বুথে জমায়েতের অভিযোগ। সেখান থেকে তাঁদের সরাতে গেলে বচসা হয়। সেইসময় বুথ অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

Advt