আমদানি করা অক্সিজেনের ১০ শতাংশ বাংলাকে দেওয়া হোক, কেন্দ্রকে মমতা

0
1

রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনা- সংক্রমণ (Corona)৷ এই পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে আমদানি করা অক্সিজেনের (Oxygen) ১০ শতাংশ বাংলায় পাঠানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ হাজার মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি করছে। তার মধ্যে বাংলার জন্য কমপক্ষে ১০ শতাংশ বরাদ্দ করতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।”

কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানোর পাশাপাশি অক্সিজেনের জোগানে যাতে ঘাটতি না হয়, সেজন্য প্রশাসনের তরফেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে আপাতত দৈনিক ২২৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। ওদিকে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে রোজ প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। ফলে রাজ্যে আপাতত অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই।

অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ রাজ্যের একাধিক শীর্ষকর্তার বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। রাজ্যের আশঙ্কা, ভোট শেষ হলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে৷ তাই কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হবে৷ অক্সিজেন নিয়ে মুখ্যসচিবের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে-

◾এবার থেকে শুধু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখালেই অক্সিজেন মিলবে না। করোনা- পজিটিভ রিপোর্ট থাকলে তাহলেই অক্সিজেন দেওয়া হবে।

◾কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, অক্সিজেনবাহী ট্যাঙ্কার কখন, কোন পথ দিয়ে যাবে, দিয়ে যাবে, সেই তথ্য হাসপাতাল এবং প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি আগাম জানালে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার যাতে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারে, সেই বন্দোবস্ত করবে পুলিশ৷

◾ভবিষ্যতে কথা মাথায় রেখে বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে যে অক্সিজেন পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, তার একাংশ রাজ্যের তরফে দাবি করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে৷

◾অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে তৎপর পুলিশ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই অভিযান চালানো শুরু হয়েছে।

◾শহরে অক্সিজেনের কালোবাজারি বন্ধ করতে বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। এই দলে আছেন EB-র ৮জন অফিসার ও পুলিশকর্মী।

◾যে ওষুধের দোকানগুলি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে, সেগুলির তালিকা তৈরি হচ্ছে।

◾ওষুধের দোকানগুলিতে কোন ধরনের অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে, কত সংখ্যায় মজুত করা হয়েছে, তার হিসাব নিতে শুরু করেছে পুলিশ ৷

◾কোনও দোকানের গোডাউনে অতিরিক্ত সংখ্যায় অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করা রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

◾কোনও দোকানে যদি অক্সিজেন মজুত না থাকে, তাহলে সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে এই বিশেষ টিম।

Advt