“অক্সিজেন সাপ্লাই যার জন্য বাধাপ্রাপ্ত হবে তাকে ঝুলিয়ে দেব”, কড়া হুঁশিয়ারি আদালতের

0
1

কেন্দ্র-রাজ্য বা স্থানীয় কারও জন্য যদি অক্সিজেন সাপ্লাই(Oxygen supply) ব্যাহত হয় তবে কোনও ভাবে রেহাত করা হবে না অভিযুক্তকে। মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা সেই অভিযুক্তকে ‘আমরা ঝুলিয়ে দেব’। ঠিক এই ভাষাতেই শনিবার কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারকেই কড়া হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি হাইকোর্ট(Delhi highcourt)। অক্সিজেন সঙ্কটের প্রেক্ষিতে মাহারাজা অগ্রসেন হাসপাতালের দায়ের করা এক আবেদনের শুনানিতে কড়া ভাষায় এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘী।

দেশে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের একাধিক হাসপাতালের পাশাপাশি দিল্লির হাসপাতালগুলিতেও হাহাকার শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের অভাবের কারণে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মাহারাজা অগ্রসেন হাসপাতাল(Maharaja Agrasen Hospital)। সেই আবেদনের শুনানিতেই এদিন আদালত দিল্লি সরকারকে জানায়, অক্সিজেনের সাপ্লাই আটকানোর চেষ্টা করছে কে? সেটা আদালতকে জানান হোক। এরপরই কড়া সুরে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘী(vipin sanghi) বলেন, ‘যদি কেউ অক্সিজেনের সাপ্লাই আটকানোর চেষ্টা করে তবে আমরা ওই ব্যক্তিকে ঝুলিয়ে দেব’। পাশাপাশি আরও জানানো হয়, ‘আমরা কাউকেই ছেড়ে কথা বলব না।’ এরপর দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা যেন স্থানীয় প্রশাসনের এই ধরনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছেও অভিযোগ জানায়। যাতে কেন্দ্রীয় সরকার অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। এরপরই আদালতের তরফে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করা হয়, দিল্লির জন্য বরাদ্দ দৈনিক ৪৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন কবে দেওয়া হবে? প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল আদালতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল দিল্লিকে দৈনিক ৪৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দেওয়া হবে। যদিও এখন পর্যন্ত দৈনিক ৩৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পেয়েছে দিল্লি। শুক্রবার মাত্র ৩০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন এসে পৌঁছয় দিল্লিতে।

আরও পড়ুন:কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, পর্যবেক্ষকদের চ্যাটের নথি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন মমতা

অন্যদিকে ভয়াবহ অক্সিজেন সঙ্কটের জেরে শনিবার রাতে ফের দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জন করোনা রোগীর। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডঃ ডিকে বালুজা বলেন, ‘সরকারের তরফে আমাদের ৩.৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন দেওয়ার কথা জানানো হয়। বিকেল পাঁচটার মধ্যে অক্সিজেন পৌঁছনোর কথা থাকলেও তা মধ্যরাতে এসে পৌঁছয়। অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় ২৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’ অক্সিজেন সঙ্কট মেটাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই হাসপাতালও।

Advt