মানিকতলা কেন্দ্রের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তুমুল উত্তেজনা। শনিবার বিকেলে। একইসময়ে মুখোমুখি tmc-bjpর সভা। মাইকে মাইকে টক্কর। পুলিশ, আধাসেনার তৎপরতা। দৌড়ঝাঁপ। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ।
বিজেপির সভা থেকে dilp ghosh যখন তৃণমূলকে তুমুল আক্রমণ করছেন, তৃণমূলের মঞ্চ থেকে kunal ghosh বলছেন,” দিলীপবাবু চান না তৎকাল বিজেপিরা ছড়ি ঘোরাক। দিলীপ ঘোষ দিচ্ছে ডাক, বাংলা দিদির হাতেই থাকে। উনি ভাষণে যাই বলুন, সেটা ওঁর মনের কথা নয়।”
এদিন বিজেপির সভায় আসার কথা ছিল অমিত শাহের। তিনি যাননি। ছিলেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। তৃণমূলের সভায় ছিলেন কুণাল ঘোষ, সুজাতা মন্ডল, প্রার্থী সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডে।
কীভাবে দুটো সভা মুখোমুখি হল? পুলিশের নজরে আসতেই ফোর্স বাড়ানো হয়। ২০০ মিটারের তফাতে সভা। মাইক নিয়ে তর্ক বাধে। বিকেলে বিজেপির কয়েকজন তৃণমূলের দিকে ছুটে যায়। সামান্য ইঁটবৃষ্টি হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী মাঝখানে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন- করোনার টিকা থেকে রাজনৈতিক সভা- কেন্দ্রকে ধুয়ে দিলেন অভিষেক
তখনই বিজেপির মঞ্চে আসেন দিলীপ-লকেট। তৃণমূলের মঞ্চে ঢোকেন কুণাল-সুজাতা। একই সময়ে তীব্র ভাষণ চলতে থাকে। তবে নিশ্চিতভাবেই বিজেপির সভার থেকে লোক বেশি হয়েছে তৃণমূলের সভায়। এলাকার বাড়ির ছাদ, বারান্দা থেকে মানুষ সাধন পান্ডের সমর্থনে এগিয়ে আসেন।
শেষপর্যন্ত আর জল বেশি ঘোলা হয়নি। প্রবল উত্তেজনা ক্রমশ কমে আসে। প্রথমে বিজেপির সভা শেষ হয়। তারপর তৃণমূল সভা শেষ করে।
তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল বলেন,” আমরা অনুমতি নিয়ে বৈধ সভা করেছি। ওরা কী করে অনুমতি পেল জানি না। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে বিজেপি গোলমাল করছে।” বিজেপির অভিযোগ,” তৃণমূল আমাদের মাইক খুলে দিয়েছে।”
আরও পড়ুন- ৫০০ র বেশি জমায়েত, মিঠুন- দিলীপের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের