‘নাদিম-শ্রাবণ’এর পথচলা শুরু সত্তরের দশকে। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন শ্রাবণ। বৃহস্পতিবার রাতে সেই লড়াই থামে। মৃত্যু হয় সুরকার শ্রাবণ রাঠোরের। বয়স হয়েছিল ৬৭।
নাদিম-শ্রাবণ কাজ শুরু করেছিল ভোজপুরী ছবির মাধ্যমে। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পায় ‘দঙ্গল’, যেখানে নাদিম-শ্রবণের সুরে গান গেয়েছিলেন মান্না দে। হিন্দি ছবিতে এই জুটির সফর শুরু করেছিল ১৯৮১ সালে। ‘মেয়নে জিনা শিখলিয়া’ ছবির সঙ্গে শুরু হয়েছিল এই জুটির বলিউড সফর। ১৯৯০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘আশিকি’। কুমার শানুর কন্ঠে ‘বস এক সনম চাহিয়ে আশিকিকে লিয়ে’ যা আজও হিট।
শ্রাবণের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই নাদিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল মুম্বইয়ের এক সংবাদসংস্থা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নাদিম। তিনি বলেন,”এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি যে তাঁর পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারছি না। আমার ভাইকে শেষ বারের মতো দেখতে পারলাম না। একসঙ্গে বড় হয়েছি আমরা। কোনও দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হইনি। সে আর নেই।”
আরও পড়ুন-কর্ণাটকে ফুটপাতে রোগী, করোনায় দেশকে ডোবালেন মোদি
সঙ্গীত পরিচালক শ্রাবণ রাঠোরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গায়ক কুমার শানু। তিনি জানিয়েছেন,তাঁদের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। একসঙ্গে বহু কাজ করেছেন তাঁরা। গুলশান কুমার তাঁর সঙ্গে নাদিম-শ্রাবণের আলাপ করিয়েছিলেন। বাপ্পি লাহিড়ি এবং নাদিম-শ্রাবণের সঙ্গে কাজ করে সবথেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন তিনি। খুব ভালো গান শেখাতেন তাঁরা। প্রোগ্রামিং-এর দিকে নাদিম-শ্রাবণ স্ট্রিং বাদ্যযন্ত্র বেশি ব্যবহার করত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গিটারের মতো আরো অন্যান্য স্ট্রিং বাদ্যযন্ত্র এই জুটি ব্যবহার করত। যাঁর জন্য ওঁদের গানে-মিউজিকের মধ্যেও মেলোডি থাকত।
কুমার শানুর বলেন, ‘শ্রাবণ জি খুব নরম সুরে কথা বলতেন। কোনো দিনও রাগতে দেখিনি তাঁকে। খুব সম্মান দিয়ে কথা বলতেন।”
শ্রাবণের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিত। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, “আপনার কালজয়ী সুরগুলির মাধ্যমে আপনার নাম চিরকাল বেঁচে থাকবে।”
Heartbroken to hear about #ShravanRathod's passing this morning. Your name will live on forever through your timeless melodies. Thank you for your music & for being a part of my journey with Saajan, Raja & more films. My deepest condolences to the family & friends in grief 🙏
— Madhuri Dixit Nene (@MadhuriDixit) April 23, 2021