কোভিড সংক্রমণের উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে দেশজুড়ে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে পানিপথে ধরা পড়ল এমন এক ছবি যা দেখলে আপনিও লজ্জায় মুখ ঢাকবেন। উত্তর ভারতের সবচেয়ে বড় অক্সিজেনের কেন্দ্র এয়ার লিক্যুইড প্ল্যান্টে রোজ ২৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন তৈরি হয় ৷ সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় যে অক্সিজেন পাঠানো হবে, তার ট্যাঙ্কার ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্ল্যান্টের বাইরেই অপেক্ষা করছে ৷ অথচ অক্সিজেন মিলছে না ৷
হেলদোল নেই প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের। ভাবটা এমন, তোরা মরলেও আমরা চলব আমাদের নিয়মে! অপেক্ষায় রয়েছে হরিয়ানার কোম্পানি ৷ অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির অবস্থা ভয়াবহ। তাদের ট্যাঙ্কারকেও অক্সিজেন দেরিতে দেওয়া হচ্ছে ৷ মানবিকতার লেশমাত্র নেই আধিকারিকদের।
দু-তিন দিন বসিয়ে রাখা হয়েছে পাঞ্জাবের ট্যাঙ্কারগুলিকেও ৷ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুটো থেকে পানিপথ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে রিফাইনারির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৩ টি ট্যাঙ্কার ৷ দিল্লির ৫টি, পাঞ্জাবের ২টি, হরিয়ানার ৪টি এবং উত্তরপ্রদেশ ও গাজ়য়াবাদের একটি করে ট্যাঙ্কার ৷ কোনওটা দাঁড়িয়ে রয়েছে ৭-৮ ঘণ্টা, কোনওটা আবার ৩০-৩৫ ঘণ্টা ৷
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর দিল্লির তিনটি ট্যাঙ্কারের মধ্যে একটি অক্সিজেন পেয়েছে ৷
ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট কী বলছে শুনুন । তার দাবি, দিল্লির বদরপুর বৈভব অক্সিজেন সংস্থার পাঠানো তিনটি ট্যাঙ্কারের একটিতে ১০ টন অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে ৷ তবে দুটি ট্যাঙ্কার ২১ এপ্রিল থেকে প্ল্যান্টের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, তিনজন করে ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত রিফাইনারিতে তিন শিফটে কাজ করেন ৷ তবু কেন এক একটি ট্যাঙ্কারকে অক্সিজেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ? এই প্রশ্নের জবাবে ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট এসডিও সন্দীপ কুমার অদ্ভূত যুক্তি দিয়েছেন । বলেছেন, রিফাইনারির বাইরে যে ট্যাঙ্কারগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে, সে গুলির নাম তালিকায় নেই !
তাই যুক্তির বেড়াজালে আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন দেশের কয়েক লক্ষ করোনা রোগী। সব জেনেও কেন এত উদাসীন কেন্দ্রীয় সরকার? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.