বাংলায় ম্যারাথন নির্বাচন (West Bengal Assembly Election) পর্বে সপ্তম ও অষ্টম দফায় কলকাতার ১১টি আসনে ভোট গ্রহণ। আগামী ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় দক্ষিণ কলকাতার বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জে ভোট। আর অষ্টম দফায় ভোট নেওয়া হবে চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, মানিকতলা ও কাশীপুর-বেলগাছিয়ায়।
গত বিধানসভায় কলকাতার ১১টি আসনই ছিল শাসক ঘাসফুল শিবিরের দখলে। এবারও এই আসনগুলি ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। অন্যদিকে, কলকাতার সবকটি কেন্দ্রে বিশেষ নজর দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
আর তার আগে আগামিকাল, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর (PM) নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভা (Rally) করার কথা ছিল ভবানীপুর কেন্দ্রের সুভাষ উদ্যানে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অনুমতি না মেলায় সেই সভাটি হচ্ছে ধর্মতলার শহিদ মিনার (Shahid Miner) ময়দানে। করোনা পরিস্থিতির জেরে ২২ ও ২৪ এপ্রিলের বদলে ২৩ এপ্রিল একদিনেই চারটি সভা হচ্ছে মোদির। মালদহ, বহরমপুর, সিউড়ি ও কলকাতার সভাগুলি সব শহিদ মিনার ময়দানে হবে।
এই চার জায়গাতেই সভাস্থলে হাজির থাকবেন মোদি। করোনা আবহে সমস্ত বিধি মেনে জমায়েতে রাশ টেনে সভাস্থলে সর্বোচ্চ ৫০০ জন শ্রোতা থাকবেন। পাঁচশোজন আমন্ত্রিতের মধ্যে একটা বড় অংশ সমাজের বিশিষ্টজন এবং মহিলারা। দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর। সেক্ষেত্রে শহিদ মিনার থেকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা কলকাতার প্রতিটি বুথের প্রতিটা বাড়িতে পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য বিজেপি।
আরও পড়ুন:করোনায় বেহাল দেশ আর বঙ্গে ভোট প্রচারে প্রতিশ্রুতির বন্যা শাহের
মোবাইলে যেমন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখার অনুরোধ জানাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা, ঠিক একইভাবে বাকি জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পৌঁছে দেওয়া হবে মোদির ভাষণ। তার জন্য শুক্রবার সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় বসানো হচ্ছে এলইডি স্ক্রিন। বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট থেকে ৫ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত শহিদ মিনার ময়দানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব মিলিয়ে ভার্চুয়ালি শহিদ মিনার ময়দান থেকে কলকাতার ঘরে ঘরে পৌঁছতে চাইছেন মোদি।