আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছর ঊর্ধ্বে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল কত টাকা হবে করোনা টিকার দাম? শেষমেশ টিকার দাম নির্ধারিত করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। তারা জানিয়েছে, রাজ্য সরকারগুলিকে কোভিশিল্ড দেওয়া হবে ৪০০ টাকায় এবং বেসরকারি হাসপাতালে এই টিকা পাওয়া যাবে ৬০০ টাকায়। এর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন । ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে কেন?
মোদি সরকার ১৫৭.৫০ টাকা প্রতি ডোজ মূল্যে কোভিশিল্ড Vaccine পাবে সেরাম থেকে ।
অথচ রাজ্যকে তা কিনতে হবে ৪০০টাকায় । প্রতি ডোজে মোদি সরকারের কাটমানি ২৪২.৫০ টাকা! এই তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে । সোশ্যাল মিডিয়াতেও চর্চা শুরু হয়েছে ‘ভ্যাকসিন চোর বিজেপি ‘ বলে।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারকে যদি ভ্যাকসিন ৪০০ টাকায় কিনতে হয় তবে মাঝের ২৪২.৫০ টাকা কোন পকেটে যাচ্ছে?
এতদিন বেসরকারি হাসপাতালে গেলে ৫০০ টাকাতেই দু’ডোজ টিকা মিলত। সরকারি হাসপাতালে যা পাওয়া যেত বিনামূল্যে। কিন্তু এবার ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা নিতে গেলে ৩-৪ গুণ বেশি দাম দিতে হবে। অথচ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন ভারতে। সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
কিন্তু তার বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব চিত্রের বিস্তর ফারাক ।
সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিনের সরকার নির্ধারিত দাম জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন জনৈক এক ব্যক্তি। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিন্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ৫.৬ কোটি ডোজের প্রতিটির সর্বোচ্চ দাম ২১০ টাকা। ৫ শতাংশ জিএসটি সহ। এরপর কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয় কোভিশিন্ড ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনের ২ কোটি ডোজের দাম হোক ১৫৭.৫০। সরকারের দেওয়া এই প্রস্তাবই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা তরফে মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এটাই যদি হয় তবে এত দাম বৃদ্ধি করা হল কোন হিসেবে? কে মাঝখান থেকে ২৪২.৫০ টাকা নিয়ে নিচ্ছে তার কোন হিসাব মিলছে না।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.