বাংলার বিজেপি নেতাদের উপর বেজায় চটেছেন অমিত শাহ। রবিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে নিজের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি বিজেপির সেকেন্ড ইন কমান্ড। ক্ষোভ ও হতাশার কারণ মূলত ভোটের সম্ভাব্য ফল নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট। রাজ্য নেতৃত্ব আর গোয়েন্দা রিপোর্টে বিস্তর ফারাক। যার জেরে চিন্তার ভাঁজ বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতির কপালে।
বৈঠকে কেন্দ্র ধরে ধরে রাজ্য নেতারা দাবি করেন ৫ পর্বে ১২০টির কাছাকাছি আসন পেতে চলেছে বিজেপি। কিন্তু বৈঠকে থাকা রাজ্যের এক শীর্ষ নেতা জানাচ্ছেন, নেতাদের রিপোর্ট পেশের সময় চুপ করে সব শোনেন শাহ। হঠাৎই মেজাজ হারান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শীর্ষ নেতাদের ধমকের সুরে বলেন, যা বলছেন, তার পিছনে তথ্য কী আছে? নেতারা বুথভিত্তিক ও সাংগঠনিক রিপোর্টের কথা বলেন।
এরপরই অমিত শাহ তাদের সামনে ফেলেন পাঁচ দফার গোয়েন্দা রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে দেখা যায় ভোট শেষ হওয়া ৫ পর্বে বিজেপি মেরেকেটে ৫২ থেকে সর্বোচ্চ ৬৩টি আসন পেতে পারে। আর শেষ তিন দফায় সর্বোচ্চ ৩৪টি আসন হাতে আসতে পারে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৯৭। উত্তরবঙ্গে আনন্দ বর্মন ইস্যুতে যদি জাত-পাতের সুড়সুড়ি লাগানোয় সফল হওয়া যায়, তাহলে আসন গোটা ৫-৭ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আসন সংখ্যা হবে ১০৪। ম্যাজিক ফিগার থেকে বিজেপি পিছিয়ে প্রায় ৪৫টি আসনে। আর এটাই রাতের ঘুম ছুটিয়েছে বিজেপি নেতাদের। ক্ষোভ বাড়িয়েছে অমিত শাহর। সরকার গড়তে ‘গেস্ট হাউস প্রজেক্ট’-এ নামতে হলে আর লজ্জার সীমা থাকবে না।
তাই রবিবারের টিম মিটিং থেকে সিদ্ধান্ত…
১. প্রচারের দামামা আরও বাড়াতে হবে
২. মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও ব্যবহার করতে হবে
৩. ভোটের দিন নিয়ম করে অডিও ও ভিডিও ক্লিপিং ছাড়তে হবে
৪. সারাক্ষণ মাইন্ড গেম খেলে যেতে হবে। সপ্তম দফাতেই ২০০ পেরিয়ে যাব বলতে হবে জোর গলায়।
কিন্তু তাতে কী বাংলার চিড়ে ভিজবে? অপেক্ষা আর দু’সপ্তাহের।
আরও পড়ুন- বাংলায় করোনার টিকা, ওষুধ, অক্সিজেন চেয়ে মোদিকে চিঠি মমতার