গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির কাছেই একটি খালের জলে উদ্ধার হল ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) ১ নম্বর ব্লকের কানপুর-ধনবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূল (TMC) সভাপতি পলাশ মণ্ডলের পচাগলা দেহ।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে খুন করে খালের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন , পিসতুতো বোনের প্রেমের সম্পর্কে বাধা দিয়েছিল পলাশ । তাই তাকে খুন হতে হয়েছে। মৃতের পিসতুতো বোনকে গ্রেফতার করা গেলেও পলাতক বোনের প্রেমিক ও তাদের এক সহযোগী ।
কী ঘটেছিল ওই দিন?
পারিবারিক সূত্রে দাবি , শনিবার দুপুরে পলাশের কাছে একটি ফোন আসার পরই দুপুর দেড়টা নাগাদ ‘কাজে যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ ছিল না তাঁর। পলাশের কাছে থাকা দু’টি মোবাইল ফোনের একটি ছিল সুইচড্ অফ। আর একটি ফোনে বারবার রিং হয়ে গেলেও ফোন ধরেননি পলাশ। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে গৌরিপুর খালের জলে পানার মধ্যে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায় ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খালের জল থেকে মৃতদেহটি সম্পূর্ণ পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে খুন করা হয়।
কিন্তু কেন এই খুন? জানা গিয়েছে, টুম্পার সঙ্গে ডায়মন্ডহারবারের মোহনপুরের বাসিন্দা বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া এক যুবকের পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক মানতে পারেননি পলাশ। বারবার নিষেধ সত্ত্বেও টুম্পা ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে রাজি হয়নি।
যার নিট ফল, পলাশকে সরিয়ে দিতে ছক কষে ওই প্রেমিক প্রেমিকা। এক সুপারি কিলারকে নিয়োগ করা হয় ।
একটি সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে আসে। সেখানেই দেখা যায়, একজন মোটর বাইক চালক পলাশকে বাইকে তুলে দ্রুত জায়গা ছেড়ে চলে যাচ্ছে । পলাশের দেহ মিলতেই প্রেমিক এবং ওই সুপারি কিলার পলাতক হওয়ায়, পুলিশ নিশ্চিত যে পরিকল্পনা করেই এই খুন করা হয়েছে। পুলিশ তাদের খুঁজে বের করতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে। এভাবে পলাশের মতো এক তরতাজা যুবককে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.