কমিশনকে দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ার আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামীকাল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায়(dharna) বসার সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার টুইট করে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী(chief minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘নির্বাচন কমিশনের(election commission) অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। আগামী কাল দুপুর ১২ টায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসছি।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মন্তব্যের জেরে নোটিস পাঠানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। যার একটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গ এবং অন্যটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট। এই দুই মন্তব্যের জেরে রাজ্য সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ এপ্রিল তৃণমূল নেত্রীকে পাঠানো হয় নোটিশ। ৯ তারিখ তার জবাব দেন মমতা। তবে মমতার উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ার সোমবার ২৪ ঘন্টার জন্য তাঁর প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে এবার ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন:নজিরবিহীন! ২৪ ঘণ্টার জন্য মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের, তীব্র নিন্দা তৃণমূলের
পাশাপাশি মমতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পর তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েএকযোগে কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন বামেরাও। এদিন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘যদি প্রচার বন্ধ করতে হয়, তবে শীতলকুচি মন্তব্যের জেরে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসুর প্রচারও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া উচিত। তবেই প্রমাণিত হবে, কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে না।’ পাশাপাশি কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটে তিনি লেখেন, ‘গণতন্দ্রের কালো দিন’। ‘মানুষের হৃদয় থেকে মমতাকে সরানো যাবে না’ বলে এদিন টুইট করেছেন ফিরহাদ হাকিমও।








































































































































