পঞ্চম দফার নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের একবার রাজ্যে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। সোমবার রাজ্যের একাধিক জায়গার পাশাপাশি বারাসতেও জনসভা ছিল তাঁর। আর সেখান থেকেই নাম না করে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (jyotipriya Mallick) তীব্র আক্রমণ শানালেন মোদি। জানিয়ে দিলেন, ‘যারা গরিবের চাল ছিনিয়ে নেয় তাদের বিধানসভায় যাওয়ার কোনো অধিকার নেই।’ পাশাপাশি ক্ষমতায় আসার পর কোনরকম ভেদাভেদ না করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া ও গৃহহীনদের বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মোদি।
রাজ্যে আমফানের সময় কালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। স্বাভাবিকভাবেই সোমবার বারাসাতের জনসভায় দাঁড়িয়ে সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বারবার অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণ হিসেবে চাল, ছোলা পাঠালেও তা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। এরপরই মোদি বলেন আমফানের ত্রাণের জন্যে যে টাকা পাঠালাম দিদির লোকেরা সব লুট করল। গরিবকে চাল দেওয়ার দায়িত্ব যার ওপরে ছিল সেই খাদ্যমন্ত্রী এই এলাকার। পাশাপাশি তিনি বলেন, গরীবকে লুট করা এই সমস্ত মানুষের শুধু হার নয় জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া উচিত। তাদের কোনভাবেই বিধানসভায় যাওয়া উচিত নয়। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে নরেন্দ্র মোদির এহেন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলা হয়েছে, আমফান দুর্যোগের পর সমস্ত রকম ভাবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল সরকার। তবে এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে রাজনীতি করছেন তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় রাজ্যের মন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন তা একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায় না। তিনি সমস্ত রকম নীতি-নৈতিকতার লাগাম ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন:‘শীতলকুচির মতো ঘটনা আমরা চাই না’, প্রবল চাপে সুর বদল দিলীপ ঘোষের
প্রসঙ্গত, হাবরা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিজেপি তরফে দাঁড়িয়েছেন রাহুল সিনহা। এই অঞ্চলে নির্বাচন হওয়ার কথা ষষ্ঠ দফায়। তবে তার আগেই সোমবার বারাসতের জনসভায় এসে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনটাও সেরে ফেললেন মোদি।