‘দায় আমাদেরও, ভোট প্রচারেই সংক্রমণ বৃদ্ধি’, আত্মসমালোচনা সোনিয়া গান্ধীর

0
3

ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনা (Corona) পরিস্থিতি। আর সেই আবহেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যে নির্বাচন চলছে। অন্য ৪ রাজ্যে ভোট শেষ হলেও বাংলায় এখনও ৪ দফা ভোট বাকি।

এদিকে এ রাজ্যেও উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ৷ সর্বশেষ হিসাব, গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গে ৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ কলকাতায় গত ২৪ ঘন্টায় এক লাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮৭ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের৷
প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যে সব দলের ভোটের প্রচার- কর্মসূচিতে বেলাগাম ভিড়-ই কি করোনা বৃদ্ধির কারন ? প্রশ্ন থাকলেও কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রীই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি৷ কোনও মন্তব্য না করেই করোনা- প্রোটোকলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাপিয়ে প্রচার চালাচ্ছে প্রায় সব দলই৷

ওদিকে, শনিবার, এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সরাসরি এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন৷ জাতীয় কংগ্রেসের (INC) অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) বলেছেন, “দেশে করোনা-তাণ্ডবের দায় সব রাজনৈতিক দলগুলিকেই নিতে হবে। এর মধ্যে অবশ্যই রয়েছে কংগ্রেসও”৷ দেশে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এভাবেই আত্মসমালোচনা করেছেন সোনিয়া গান্ধী। একই সঙ্গে দেশজুড়ে বৃদ্ধি পাওয়া করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় মোদি সরকারের ‘ব্যর্থতা’রও কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। সোনিয়া গান্ধীর কথায়, ”মোদি সরকার কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে৷ টিকা রফতানির ফলে দেশে টিকার ঘাটতিও দেখা গিয়েছে।”
এরপরেই সোনিয়া বলেন, “নির্বাচনের প্রচার সভা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জমায়েতের কারণে দেশে যেভাবে করোনা বেড়েছে, তার জন্য আমরা সকলেই কমবেশি দায়ী। এই দায়িত্বটা আমাদের সকলকেই নিতে হবে। এবং নিজেদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে দেশকে রাখতে হবে।”

প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং প্রমুখ।
ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষের গণ্ডি পার হয়েছে সপ্তাহ দেড়েক আগেই। এখন তা এগোচ্ছে দেড় লক্ষের দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪৫ হাজার। রেকর্ড গড়েছে মৃতের সংখ্যাও। একই সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র টিকাকরণকেই অগ্রাধিকার কেন্দ্রীয় দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ অগ্রাধিকার দিলেও মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ বহু রাজ্যে করোনা টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

Advt