যাদবপুরে বিজেপির সাহায্যে জিতছেন তৃণমূলের “গ্যারেজ” মলয়, বলছেন সুজনের অনুগামীরাই

0
1

যাদবপুরে আবার সুজন? ভোটের চিত্র কিন্তু বলছে অন্য খবর। না, তৃণমূল বা বিজেপি নয়, খোদ সিপিএম সমর্থকরা হতাশ। নজরকাড়া এই কেন্দ্রে সরাসরি লড়াই ছিল সিপিএমের হেভিওয়েট সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে তৃণমূলের দেবব্রত মজুমদার ওরফে মলয়ের। ধারে, ভারে, নামে শাসক দলের প্রার্থীর চেয়ে সবদিক থেকে ওজন বেশি সুজনবাবুর। কিন্তু গ্রাউন্ড রিয়েলিটি বলছে অন্য খবর। হারছেন সুজন, ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাই।

এলিট ক্লাস কেন্দ্র যাদবপুরে সুজনবাবুর জয়ের পথে সবচেয়ে বড় কাঁটা তাঁরই শিষ্যা রিঙ্কু নস্কর। যিনি মাসকয়েক আগে বাম ছেড়ে রামে নাম লিখিয়েছেন। এবং বিজেপির টিকিটে এখানে প্রার্থী হয়েছেন। সুজন চক্রবর্তীর অনুগামীদের অভিযোগ, রিঙ্কু নিজে জিততে পারবেন না জেনে পরোক্ষে তৃণমূলকে সাহায্য করেছেন। খেলাটা শুরু হয়েছে অনেক আগে। বয়স্ক মানুষের পোস্টাল ব্যালটের ভোট একতরফা ভাবে করিয়েছে তৃণমূল। মজা নিয়েছে রিঙ্কু।

আজ, ভোটের দিনেও কায়দা করে তৃণমূলকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে বিজেপি। লড়াইয়ে নেই বুঝে তৃণমূল প্রার্থী “গ্যারেজ মলয়”-এর হয়ে ভোট করিয়েছে বিজেপি। পাছে ভোটের পর যদি বিজেপিতে টেনে নেওয়া যায় মলয়কে। যেটা সুজন জিতলে সম্ভব ছিল না। এমনই অঙ্ক দেখছে যাদবপুরের সিপিএম।

বামেদের দাবি, এলাকার বিভিন্ন নব নির্মীয়মান আবাসনগুলির প্রমোটারদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মলয় মজুমদার। পুরস্কার হিসেবে প্রতিটি আবাসনে তাঁর গ্যারেজ রয়েছে। যে সুবিধা এলাকার বিজেপি নেতাদেরও দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। তাই “গ্যারেজ” মলয়কে পরোক্ষে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন বিজেপির রিঙ্কু নস্কর। যদিও ২-মে’র পর বোঝা যাবে খেলা ঠিক কীভাবে হয়েছে।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় উপজাতি পরিষদের নির্বাচনে লজ্জার হার বিজেপির

Advt