শিশিরকে রাজ্যপাল করতে চায় কেন্দ্র! রাজ্য নিয়ে ভাবনা

0
1

পারিবারিক সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে কাঁথির অধিকারী পরিবারের পরিচিতি আছে। তৃণমূলের সঙ্গে থেকে সাংসদ, কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী, বোর্ডের চেয়ারম্যান- কোনও পদ বাদ ছিল না অধিকারীদের। পিতা ও পুত্ররা মিলে অনেক সুবিধা ভোগ করেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (Bjp) যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। এরপর সৌম্যেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikari)। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলে, শুভেন্দু বিজেপি প্রার্থী হলে তাঁকে সমর্থন করাই নয়, রীতিমতো নরেন্দ্র মোদির সভায় গিয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। এবার এই পারিবারিক আনুগত্যের স্বীকৃতি দিতে চায় বিজেপি। অন্তত সূত্রের এটাই খবর। শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী করার পরে এবার শিশির অধিকারীকে রাজ্যপাল করতে চায় গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশের পূর্বাঞ্চলে বাংলার পড়শি দুই রাজ্যের যেকোনো একটিতে শিশিরকে রাজ্যপাল করার ভাবনা রয়েছে।

শিশিরের বয়স ৮০ পেরোলেও শারীরিক ভাবে এখনও কর্মঠ। রাজনৈতিক ভাবেও সক্রিয়। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে তৃণমূলের (Tmc) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাংসদ থাকলেও বিধানসভা ভোট মিটলে তৃণমূল তাঁর সাংসদপদ খারিজের জন্য লোকসভায় আবেদন জানাবে বলে সূত্রের খবর।

এবার বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীর বাবাকে ‘সম্মানজনক পুনর্বাসন’ দিতে চায়। সেই কারণেই তাঁকে রাজ্যপাল করার ভাবনা বলে সূত্রের খবর। এই ভাবনা না কি এখন নয়, অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। আগামী অগাস্টে পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্যের রাজ্যপালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেখানেই শিশিরকে রাজ্যপাল করে পাঠানো হবে। শিশির নিজে ওই বিষয়ে এখনও প্রকাশ্যে কিছু জানাননি। তবে তাঁর কাছে রাজ্যপাল হওয়ার প্রস্তাব এলে তিনি ফেরাবেন না বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর।

শিশির অধিকারীর সম্মানজনক পুনর্বাসনের পাশাপাশি কাঁথি আসনটি সরকারি ভাবে বিজেপি নিজেদের দিকে আনতে চাইছে। রাজ্যপাল হলে কাঁথির সাংসদ পদ থেকে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে কাঁথি আসনে উপনির্বাচন হলে, তাতে বিজেপি-র প্রার্থী কে হবেন? বিজেপি সূত্রে খবর, ওই আসনে লড়তে পারেন অধিকারী পরিবারের ছোটছেলে সৌম্যেন্দু। তিনি কাঁথি পুরসভার প্রধান প্রশাসক ছিলেন। শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনিও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।

সৌম্যেন্দুকেও ‘পুনর্বাসন’ দিতে হলে কাঁথির সাংসদপদের চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। কারণ, সৌম্যেন্দু জিতলে আসনটি যেমন অধিকারী পরিবারের হাতেই থাকবে। পাশাপাশি, রাজ্যে ‘সরকারি ভাবে’ বিজেপি একটি আসন বাড়বে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

Advt