বিজেপিকে ভোট দিয়ে নিজের পায়ে কুড়ুল মারবেন না, আর্জি ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিকের

0
1

ত্রিপুরার (Tripura) এখনকার হাল দেখুন। যাঁরা বিজেপির (bjp) প্রতিশ্রুতিতে ভরসা করে ওদের ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা এখন আপসোস করছেন! তাই ত্রিপুরার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন বাংলার (Bengal) মানুষ। এরাজ্যে ভোট প্রচারে এসে এভাবেই ত্রিপুরার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিজেপির বিপদ বোঝাচ্ছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিএম নেতা মানিক সরকার (manik sarkar)। বিভিন্ন প্রচারসভায় গিয়ে মানিক বলছেন, তৃণমূলকে (tmc) সরাতে গিয়ে যদি বিজেপির মিথ্যা কথায় ভুলে যান তাহলে তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ দিতে হবে। পাশের রাজ্য ত্রিপুরাকে দেখুন। বিজেপি এসে কী অবস্থা করেছে! তৃণমূলকে সরাবেন বলে যাঁরা বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁরা কুমির আটকাতে শেষে হাঙরের মুখে পড়বেন। তৃণমূলের বিকল্প একমাত্র বামেদের নেতৃত্বে সংযুক্ত মোর্চাই।

আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে সভা করেন মানিক সরকার। এদিন তাঁর সভা আছে আলিপুরদুয়ারে। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া রয়েছে। কিন্তু সেই হাওয়ায় বিজেপিকে ভোট দিলেই সর্বনাশ। ২০১১ সালে মানুষ বামফ্রন্টকে সরিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন তাঁরা ভুল করেছেন। কিন্তু তা বলে যদি তৃণমূলকে সরাতে গিয়ে বিজেপিকে বেছে নেন তাহলে ত্রিপুরার মতই হাল হবে বাংলার। বিজেপিকে ভোট দিয়ে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারবেন না। মানিক বলেন, ত্রিপুরায় যাঁরা সিপিএমকে সরিয়ে বিজেপিকে এনেছিলেন, তাঁরা বলছেন, ভুল হয়েছিল। তাঁরা এখন সিপিএম নেতাদের পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইছেন। ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মানিক সরকারের অভিযোগ, গত বছরে মাত্র ২ ঘন্টার নোটিশে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল লকডাউনের নামে। যাঁরা শ্রমিক তাঁদের জন্য কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এতটাই অসংবেদনশীল বিজেপি সরকার! বিজেপির পাশাপাশি
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মানিক। কমিশনকে ‘দলদাস’ উল্লেখ করে মানিক সরকার অভিযোগ করেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার ২ টি আসন রিগিং করে দখল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সামনেই তা করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত থেকে নির্বাচন কমিশন সবই দলদাসে পরিণত হয়েছে বলে মানিকের অভিযোগ।

Advt