মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় সাতগাছিয়া আসনে নির্বাচন । প্রচারের শেষদিনে রবিবার সেখানেই সভা করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আক্রমণ করলেন বিজেপিকে (BJP)। কটাক্ষ করে বললেন, “বিজেপি শ্যামাপোকার মতো। কালীপুজোর পর যেমন শ্যামাপোকা দেখা যায় না। তেমনই ভোটের পর ওদেরও দেখা যাবে না।”
এদিন পর পর সভায় অভিষেক বলেন, বিজেপি কোনও মতেই তৃণমূলকে হারাতে পারবে না। কারণ, তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে উন্নয়ন। আর এই উন্নয়নের প্রশ্নে মমতার দল এগিয়ে রয়েছে বাংলায়। এমনই দাবি অভিষেকের।সাতগাছিয়ায় বিজেপিকে একহাত নিলেন তিনি। অভিযোগ করলেন, বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলা দখলের চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনওক্রমে বাংলার দায়িত্ব পেলেও প্রতিশ্রুতি পূরণ তারা করবে না।
তিনি বলেন, ভোটের লড়াইতে মমতাকে টার্গেট করে কথা না বলে, বিজেপির উচিত উন্নয়নের প্রশ্নে ডিবেটে অংশ নেওয়া। অভিষেক বলেন, তিনি নিজে চান উন্নয়নের প্রশ্নে ডিবেট লড়তে। এবিষয়ে স্থান, কাল, পাত্র , সঞ্চালক বিজেপি ঠিক করুক, তিনি সেই ডিবেটে অংশ নিতে রাজি।
অভিষেকের দাবি, ভোটে কারচুপির উদ্দেশেই আট দফায় ভোট করানো হচ্ছে বাংলায়। হুঙ্কার ছেড়ে বললেন, “১০ দফায় ভোট করলেও কোনও লাভ করতে পারবে না বিজেপি। বাংলার মানুষ বিজেপির দফারফা করে দেবে।
অভিষেক বলেন, ‘করোনার দোহাই দিয়ে বিজেপি সাংসদদের তহবিলের টাকা রুখে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক তহবিল নিয়ে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেননি, যেখানে বাংলা নিজেও করোনার প্রবল দংশন সহ্য করেছে।
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে যুব তৃণমূল সভাপতি এদিন ফের বলেন, “তৃণমূল ২৫০ আসন পাবেই।”
বিজেপির (BJP) পাশাপাশি এদিন দলত্যাগীদেরও কটাক্ষ করেন অভিষেক। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন।
প্রতিশ্রুতি দিলেন, ২ মে মুখ্যমন্ত্রী শপথ গ্রহণের পর ১ জুন থেকে প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে পড়ুয়ারা।শুভেন্দু অধিকারী তার বিরুদ্ধে যে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন, সেখানে সেবিষয়ে একটিও কথা খরচ করতে শোনা যায়নি তৃণমূলের ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.