বঙ্গ রাজনীতিতে বোমা ফাটালেন DMK-এর যুবনেতা উধয়ানিধি স্টালিন৷ রাজনৈতিক মহলের ধারনা, উধয়ানিধি’র এই মন্তব্যের জল অনেকদূর গড়াবে৷
প্রসঙ্গত, তামিল সিনেমার অন্যতম নক্ষত্র এই উধয়ানিধি’র বাবা এমকে স্টালিন এখন DMK-র প্রধান৷ পিতামহ কিংবদন্তি রাজনীতিকের মর্যাদা পাওয়া এম করুনানিধি ৷ এছাড়া উধয়ানিধি’র পিসি
কানিমোঝি, কাকা আলাগিরি, প্রত্যেকেই তামিল রাজনীতির বিশিষ্ট নেতা৷ উধয়ানিধি নিজেও এখন DMK-র যুব শাখার সভাপতি৷ ৪৮ ঘন্টা আগে ভোটমুখী তামিলনাডুর আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন এই উধয়ানিধি স্টালিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে উধয়ানিধির অভিযোগ ছিলো, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলির মৃত্যুর জন্য মোদিই দায়ী। তাঁর অত্যাচারেই নাকি মারা গিয়েছেন ওই দু’জন। সঙ্গে সঙ্গেই উধয়ানিধির এমন দাবির প্রতিবাদ করেছেন প্রয়াত সুষমা ও জেটলির কন্যারা। এরই পাশাপাশি করুণানিধির এই নাতি অভিযোগ করেছিলেন, ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মতো সিনিয়র নেতাদের সাইডলাইনে সরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই ধরনের বিস্ফোরক দাবিকে ঘিরে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অনেকেই। শুক্রবার ওই উধয়ানিধি মুখ খুলেছেন বাংলার রাজনীতি নিয়ে৷
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Gnaguly) নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন DMK-এর উধয়ানিধি স্টালিন-এর (Udhayanidhi Stalin)।



তিনি বলেছেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপিতে (BJP) যোগদানের জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর ওই হুমকি দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেই মানসিক চাপ থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি।”
শুক্রবারই এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন উধয়ানিধি স্টালিন। প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অ্যাঞ্জিওগ্রামে তাঁর তিনটি ধমনীতে ব্লকেজ পাওয়া যায়। মোট তিনটি স্টেন্ট বসে তাঁর৷ গোটা ঘটনায় সৌরভের উপর কোনওরকম মানসিক চাপ ছিল কিনা, তা নিয়ে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল।
পাশাপাশি, একাধিক বিজেপি নেতার মন্তব্যে সৌরভের গেরুয়া-শিবিরে যোগদান নিয়েও নানা জল্পনা শোনা যায়। এমনকী বাংলায় বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এবার যুবনেতা স্টালিনের মন্তব্যে নিশ্চিতভাবেই নতুন চাঞ্চল্য তৈরি করবে বঙ্গ রাজনীতিতে। সৌরভকে নিয়ে এই মন্তব্য বিজেপিকে চরম অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ভোটের বাংলায় নতুন জল্পনা তৈরি করেছে বাংলায়।






































































































































