সকালে নন্দীগ্রামের মাঠ দখলের চেষ্টা ছিল বিজেপি (Bjp) প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari)। সকাল সকাল ভোট দিয়ে তিনি ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন বুথে। কটূক্তি করেন তার প্রতিপক্ষ তৃণমূল (Tmc) নেত্রী তথা প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) সম্পর্কে। মমতা তখন রেয়াপাড়ার অস্থায়ী বাড়ি থেকে সব বিষয় নজর রাখছিলেন। একটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন তিনি। পৌঁছে যান বয়ালের সাত নম্বর বুথে। যেখানে সকাল থেকেই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে আসছিল। তৃণমূল নেত্রীকে সামনে পেয়েই স্থানীয়রা ভুরিভুরি অভিযোগ করেন তাঁর কাছে। সোজা বুথে ঢুকে বারান্দায় বসে থাকেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এটা ছিল তাঁর মাস্টার স্ট্রোক। বাইরে যখন তুমুল উত্তেজনা বিজেপি এবং তৃণমূল এর মধ্যে তখনো তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে ভিতরে বসে ছিলেন। মমতার প্রতিটি অভিযোগ সর্বভারতীয় গণমাধ্যমের আলো পায়।

ওখান থেকে কথা বললেন রাজ্যপালের সঙ্গেও। দায়িত্বে থাকা আইপিএস-এর সঙ্গে কথাও বললেন। সেখানে উপস্থিত থাকায় পৌঁছে যান নন্দীগ্রামে দায়িত্বে থাকা আইপিএস (Ips) নগেন্দ্র ত্রিপাঠী (Nagendra Tripathi)। বাইরে যখন প্রায় খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি, তখন বুথে বসে মমতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মমতা বলেন, “আগে এখান থেকে লোক সরাও। তারপর আমি এই জায়গা ছাড়ব। তোমাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার পরেও, তাহলে এই অবস্থা কেন?” নগেন্দ্র ত্রিপাঠী তাঁকে নিশ্চিত করেন যে আর কোনও অশান্তি হবে না। আপনি চেক করতে পারেন।” কথাবার্তার মধ্যেই উর্দি দেখিয়ে নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, “ম্যাডাম খাঁকি উর্দিতে দাগ নেবো না, আর এমন অশান্তি হবে না।” এই বাক্যটা শুনেই পরের গন্তব্যে রওনা হন মমতা।
বয়ালে গোলমাল সামলে সোনাচূড়ার স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করে রেয়াপাড়ার অস্থায়ী বাড়িতে ফেরেন মমতা। বিকেল পাঁচটার হিসেবে ৮০.৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে নন্দীগ্রামে।
আরও ছ দফা ভোট হবে বাকি। “খাঁকি উর্দিতে আমি দাগ নেব না”- পুলিশের এই মনোভাবে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের সাহায্য করবে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
আরও পড়ুন:‘ভোটারদের আই-কার্ড দেখার অধিকার আধাসেনার নেই’, সুদীপ জৈনকে কড়া চিঠি মমতার










































































































































