দলীয় প্রচারে বরাবরই সক্রিয় পদ্ম শিবিরের আইটি সেল। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে নানা ধরনের প্রচার সবসময় চালায় তারা। ভোটের মুখে তা আরো বেড়েছে। কিছুদিন যাবৎ সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভি চ্যানেল বিজেপির (Bjp) প্রচারমূলক ভিডিও চলছে। 40 সেকেন্ডের ভিডিও মূলত শাসকদলের বিরোধী। এবার সেই প্রচার ভিডিও বেকায়দায় ফেলেছে পদ্ম শিবিরকে। 40 সেকেন্ডের ভিডিও (Video) দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের চিকিৎসকরা (Doctor)। যদিও ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সেটি সরিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি তাঁদের প্রচারমূলক শর্ট ফিল্ম (Short Film) নয় বলে দাবি করেছেন কয়েকজন বিজেপি নেতা। তবে দলের তরফ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কী আছে সেই ভিডিওতে? প্রচারমূলক শর্ট ফিল্মে দেখানো হয়েছে এক দম্পতি তাঁদের একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছেন। আর তার জন্য তাঁরা দায়ী করছেন হাসপাতালের (Hospital) চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসকরা ঘুষখোর। এমনকী তাঁদের রাক্ষসও বলা হয়েছে। ভিডিওর অভিযোগকারী জানাচ্ছেন, অসুস্থ সন্তানকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা ঘুষ চান।
শুক্রবার বিকেলে ওই প্রচার ভিডিও প্রথম প্রকাশ্যে আসে। আসতেই সেটা ভাইরাল হয়। এবং ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের চিকিৎসককুল। বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি সেই ভিডিও নিজেদের সাইট থেকে সরিয়ে ফেলে বিজেপি। কিন্তু ততক্ষণে সেটি ভাইরাল হয়ে পৌঁছে গিয়েছে চিকিৎসকদের মোবাইলে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম’-এর তরফ থেকে জানানো হয়, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বাংলা রাজনীতিতে নতুন নয়। কিন্তু যাঁরা প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তোলা মেনে নেওয়া যায় না।
চিকিৎসকদের আরেকটি সংগঠনের মতে, এই ভিডিওর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপির। করোনাকালে যেভাবে চূড়ান্ত ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন, তারপর তাঁদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠা কখনই উচিত নয় বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল। তবে এই ভিডিও সত্যতা স্বীকার করছে না বিজেপি। তাদের মতে, দলকে বদনাম করার জন্য কেউ এই ভিডিও আপলোড করেছে।
তবে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই অপমান ভোটদানের সময় কি ভুলতে পারবেন চিকিৎসকরা!































































































































