ঠিক এক বছরের মাথায় বুধবার, ২৪ মার্চ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের আশঙ্কার মেঘ। বাংলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফের আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ। প্রতিদিন কলকাতা শহর এবং বৃহত্তর কলকাতায় বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য কর্তারা যদিও আতঙ্কিত হতে নিষেধ করছেন। বরং তাদের বক্তব্য, মানুষের মধ্যে যে গাছাড়া ভাব দেখা গিয়েছে, সেই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে ফের আগের মতো বিধিনিষেধ মেনে চলুন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এখনই সম্পূর্ণ লকডাউন বা দোলের উৎসব নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটতে চাইছে না রাজ্য সরকার। কারণ, সামনে ভোট। মার্চের ২৭ তারিখ থেকে আট দফার ভোট শুরু হচ্ছে রাজ্যে।
প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য, এই ভোটের সময়ে আপাতত সতর্কতা এবং কড়াকড়ি বাড়ানোই প্রধান এবং প্রথম লক্ষ্য। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, নির্বাচনী জনসভায় যদি নেতানেত্রীরা নিজেরা উদাহরণ হয়ে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করেন এবং ভোটারদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেন, তবে সচেতনতার প্রচারটা অনেক জোরালো হবে।
এরই পাশাপাশি করোনার প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার গতি আরও বাড়াতে চাইছে নবান্ন। জনবহুল এলাকায় সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই পুলিশ-প্রশাসনিক কর্তাদের সক্রিয় হওয়ারও বার্তা দেওয়া হয়েছে নবান্নের শীর্ষ স্তর থেকে।
চিকিৎসকদের বড় অংশ মনে করছেন, করোনার প্রকোপ কয়েক মাস ধরে কমে যাওয়ায় দূরত্ববিধিরও তোয়াক্কা কেউ করছেন না। সেই সুযোগে ‘চরিত্র’ বদলে করোনা ফের থাবা বসাতে শুরু করেছে বাংলার নানা প্রান্তে। বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া এবং দুই ২৪ পরগনা এর বেশি প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে । চিকিৎসকদের বক্তব্য, করোনাকে হারাতে হলে মানুষকে লকডাউন পর্বের মতোই সচেতন হতে হবে। ভোটের মরসুমে প্রশাসনকেও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেজানা গিয়েছে, মঙ্গলবারেই রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। কিন্তু এক মাস আগেও এমন পরিস্থিতি ছিল না। 
গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা শহরেই গড়ে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন দেড়শোর আশপাশে মানুষ। হাওড়া এবং দুই ২৪ পরগনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এর মধ্যেই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম হাতজোড় করে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। লালবাজারের তরফে থানাগুলিকে করোনার বিষয়ে নজরদারি আরও বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু ভোটের আবহে মানুষ তাতেও ভয় পাচ্ছেন না।
সেই কারণে বিমানবন্দরেও ফের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও দ্রুত বেশি করে টিকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।







































































































































