করোনার (coronavirus) বাড়বাড়ন্ত চিন্তা বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। তাই করোনাবিধি কড়া ভাবে লাগু করতে চাইছে (election commission)কমিশন। এখন থেকে প্রচারে গিয়ে আর সমর্থকদের হাত ধরা বা আলিঙ্গন করা যাবে না। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা নেতা-নেত্রীরা শিশুদের কোলে তুলে নেন। সমর্থকদের বাড়িয়ে দেওয়া হাতে হাত রাখেন। কিংবা অলিঙ্গনও করেন। ভোটাররা যে কত কাছের লোক, কত আপন তা বোঝাতে চেষ্টার কসুর রাখেন না প্রার্থীরা। (Vote candidate) । ভোটের আবহে এ দৃশ্য খুবই পরিচিত। কিন্তু এখন থেকে আর এই দৃশ্য দেখা যাবে না। কারণ করোনা বিধিনিষেধ চালু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। করোনা (Coronavirus) অতিমারীর (Pandemic) আবহে এহেন শারীরিক ‘নৈকট্য’ রাজনৈতিক কেরিয়ারে কার্যত দাঁড়ি টেনে দিতে পারে। এমনকী হতে পারে জেলও। করোনা বিধি ঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না তা দেখতে ইতিমধ্যেই জেলাশাসক তথা জেলা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের কোভিড বিধি পালনের সমস্ত নির্দেশিকা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করে দিতে বলা হয়েছে।



নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীরা পাঁচ জনের বেশি সদস্য-সমর্থক সঙ্গে রাখতে পারবেন না। প্রচারে বেরিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক, স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে।অতিমারী সংক্রান্ত দূরত্ব বিধি মানতে হবে। একইরকমভাবে রোড শোয়ের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ রয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীর গাড়ি বাদে রোড-শোয় পাঁচের বেশি গাড়ি একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না। এবং এই পাঁচ গাড়ির একটি কনভয়ের সঙ্গে পরেরটির দূরত্ব থাকতে হবে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার। এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলিকে জনসভার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলাশাসকদের আরও সতর্ক হতে বলেছে কমিশন। প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রয়েছে শুধুমাত্র এমন ময়দানকেই জনসভার অনুমতি দেওয়া যাবে। ময়দানগুলি আগে থেকে চিহ্নিত করতে হবে। একাজে সংশ্লিষ্ট জেলার কোভিড নোডাল অফিসারকে যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি জমায়েত কখনওই যাতে নির্ধারিত মাত্রা না ছাড়ায় সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।





































































































































