করোনা দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। মঙ্গলবারও দেশের সংক্রমণের গণ্ডি ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও সোমবারের তুলনায় তা প্রায় ৬ হাজার কম বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। তবে আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার কম হলেও সার্বিকভাবে উদ্বেগজনক। এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রের স্থান শীর্ষে রয়েছে।তবে এ ভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ফের সেখানে পুরোপুরি লকডাউন জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভোটমুখী রাজ্য কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি। এরই মধ্যে চলছে করোনার টীকাকরণ।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এখনও অবধি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪০ হাজার ৭১৫ জন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের।
অনযন্য রাজ্যের পাশাপাশি বঙ্গেও শুরু হয়েছে করোনার দাপাদাপি। সংক্রমণের (West Bengal Corona Update) গ্রাফচিত্র ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। যেখানে রাজ্যের সংক্রমণের হার ছিল ১.৩৫ শতাংশ। মঙ্গলবার তা বেড়ে হয়েছে ১.৭৮ শতাংশ। কলকাতায় পজিটিভ রেট ৩.০৪ শতাংশ। রাজ্যের ২৩ টি জেলায় করোনা সংক্রমণের গতিবিধি নির্ধারণ করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যভবন। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব কোভিড হাসপাতালকে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শয্যা সংখ্যাও বাড়াতে বলা হয়েছে। সব জেলাকে আগামী তিনদিনের মধ্যে গড়ে একহাজার পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে করোনা পরীক্ষার (Coronavirus) উপর গুরুত্ব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।































































































































