বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চরমে, কমপক্ষে ১৫০টি আসনে গোঁজ প্রার্থী!

0
3

শিয়রে ভোট (Assembly Election)। আর নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, ততই অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। প্রার্থী তালিকা (Candidate List) নিয়ে আদি বিজেপি (BJP) কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ চরমে। সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতাদের শিক্ষা দিতে খোদ কলকাতার বুকে চলছে গোপন বৈঠক। কমপক্ষে ১৫০টি আসনেই গোঁজ প্রার্থী দেবে আদি বিজেপি। এঁদের থেকে ইতিমধ্যে অনেকেই নিজেদের অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে নির্দল (Independent) হিসেবে মনোয়ন দাখিল করেছেন। আগামীদিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত কেন? এ রাজ্যে দলকে তিলে তিলে গড়ে তোলা বিজেপির এক রাজ্য কমিটির আদি নেতার দাবি, ২৬০ জনের প্রার্থী তালিকা তাঁরা দেখেছেন। সেখানে মাত্র ২০ জন পুরনো বিজেপি নেতাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বাকি সবই তৃণমূল এবং অভিনেতা-অভিনেত্রী। দলবদলু এবং সেলিব্রিটিরা রাতারাতি যোগ দিয়ে টিকিট পেয়ে গিয়েছেন।
আর যাঁরা এতদিন ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করে এল, সেই আদি বিজেপিরা ঢাকা পড়ে গেল ফেসিয়াল করা মুখের আড়ালে! অথচ, দুর্দিনে এই নেতা-কর্মীরাই পদ্মফুলের ঝান্ডা নিয়ে হেঁটেছিলেন। এখন যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, সেই বিজেপিকে তাঁরা চেনেন না। তাই দেড়শোর বেশি আসনে নির্দল দাঁড়া করানো হবে বলে ঠিক করেছেন তাঁরা। মানুষ আমাদের পুরানো কর্মীদের চেনেন। তাই মানুষই বিচার করবেন, কারা বিজেপির প্রকৃত প্রার্থী। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদনীপুরের মতো বিজেপির শক্তিশালী জায়গাগুলিতে গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-‘থাবড়ে লাল করে দেব’, পুলিশকে হুমকি মোর্চার আব্বাসের

রাজ্য বিজেপির একটি অসমর্থিত সূত্র থেকে পাওয়া খবর।অনুযায়ী, প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় কলকাতায় একটি গোপন বৈঠক করেন বিভিন্ন জেলার দেড়শোর বেশি কেন্দ্রের আদি বিজেপি নেতারা। কয়েকজন রাজ্যস্তরের নেতাও সেখানে হাজির ছিলেন। বৈঠকে প্রায় ১৫৫টি আসনে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও জানানো হয়। এমনকী, জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দিল্লিতে পাঠিয়েছেন আদি নেতারা।

Advt