যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে আবারো হাওয়াই চটি, ময়নার সভায় বললেন অভিষেক

0
1

ময়না বিধানসভায়  ইজমালিচক স্কুলের মাঠে একটি। জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা এই ঠা ঠা রোদ মাথায় করে এই জনসভায় আসে, তারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক বক্তব্য শুনতে আসে না, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েই আসে যে, আগামী পয়লা এপ্রিল বিজেপিকে এপ্রিলফুল করে তৃতীয়বারের জন্য তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী বানাবে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে আসে, যতই প্রতিকূলতা আসুক, যতই বাধা আসুক মেদিনীপুরের মাটিকে দিল্লির কাছে বিক্রি করে দেওয়া চলবে না। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে আসে যে বহিরাগতদের বাংলায় কোনো জায়গা নেই। বাংলার এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে গেলে ছাত্র ও যুব, শ্রমিক কৃষক, মা বোন ভাই দাদা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূলের জোড়া ফুলে ভোট দিতে হবে। আমি সংবাদমাধ্যমকে বলবো এই সাধারণ মানুষের উদ্দীপনাকে দেখান ভালোবাসাকে দেখান, আবেগকে। একদিকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি তাবড় তাবড় সব নেতারা আর অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ভেবেছে বাংলাকে কিনবে বাংলার মানুষকে কিনব, বাংলার ভোট কিনে নেব। তাদের স্মরণ করিয়ে দি এই জেলাটার নাম মেদিনীপুর আর রাজ্যটির নাম পশ্চিমবঙ্গ। মা-বোনেরা কি চান বাংলার মেয়ে মমতা মমতা ব্যানার্জি দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করুক। দিল্লির স্তাবকতা করে আগামী দিনে বেঁচে থাকুক। নাকি আপনারা চান ভাঙ্গা পা নিয়ে বাংলার মেয়ে দিল্লির বুকে আন্দোলন করে বাংলার দাবি-দাওয়া ছিনিয়ে আনুক7

এই স্বতঃস্ফূর্ত জনতা জানান দিচ্ছে যতই নারো কলকাঠি, নবান্নে আবারো হাওয়াই চটি। ধমকে চমকে কোনো লাভ নেই। আমি অভিষেক ব্যানার্জি। আমি কিছুতেই ভয় পাইনা। লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালাইনা। পয়লা এপ্রিল আমি কলকাতায় কোনও কর্মসূচি রাখছিনা। কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে এখানে আসতে মাত্র ১৫ মিনিট লাগে। আপনাদের বলে যাচ্ছি কারুর লাল চোখ দেখে ভয় পাবেন না। সন্ত্রাসের পরোয়া না করে সকাল সকাল নিজের ভোট নিজে গিয়ে দিয়ে আসবেন। আমি দেখতে চাই আমার মা ভাই বোনের ক্ষমতা বেশি? নাকি দিল্লির বুকে যারা মেদিনীপুরের সম্মান বেচে দিয়েছে তাদের ক্ষমতা বেশি। আগামী দিনেই দেখা যাবে আগামী দিনে খেলা হবে। যারা বাংলা জানে না বাংলা বোঝে না বাংলা বলতে পারে না তারা নাকি সোনার বাংলা করবে। সোনার ভারত হলো না কেন? সোনার রাজস্থান হলো না কেন? সোনার ত্রিপুরা হলো না কেন? সোনার উত্তর প্রদেশ হলো না কেন? আর সোনার বাংলা করবে কি করে?

Advt