নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হিতেশা, ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি

0
2

জোম্যাটো ডেলেভারি বয় নাকি তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে নাকে ব্যান্ডেজ থাকা অবস্থায় একের পর এক ভিডিও পোস্ট করেন হিতেশা চন্দ্রাণী।যা নিয়ে উত্তাল হয় নেটদুনিয়া। পালটা দেন ডেলিভারি বয় কামরাজও। বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে অভিযোগ ছাড়াও একাধিক মামলা করেন হিতেশার বিরুদ্ধে। কামরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওগুলি পোস্ট করেন তাতে বলেন,জুতোপেটা করেছেন হিতেশাই। এরপরই ডেলেভারি বয়ের পাশে দাঁড়ান পরিণীতি চোপড়ার মতো সেলিব্রিটিরা। হিতেশার বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন নেটিজেনরা। এমনকি হিতেশার একসময়ের রুমমেটও হিতেশার বিরুদ্ধেই কথা বলেন। এরপর আবার নতুন করে ইনস্টগ্রামে একটি বিবৃতি পেশ করেন হিতেশা চন্দ্রাণী। সেখানে জানান, যেভাবে নেটিজেনদের ক্ষোভের শিকার হচ্ছেন তিনি তাতে তিনি তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই নেটিজেনদের কাছে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন,”যতদিন না যথাযথ আইনি পথে বিষয়টির বিচার সম্পন্ন হচ্ছে ততদিন সমস্ত নেটিজেনদের কাছে আমার অনুরোধ,দয়া করে কোনও মতামত দেবেন না।”

উল্লেখ্য গত ১০ই মার্চ একটি ভিডিও পোস্ট করে ডেলেভারি বয়ের সঙ্গে বচসার কথাটি প্রকাশ্যে আনেন হিতেশা চন্দ্রাণী। ডেলেভারি বয়ের সঙ্গে বচসার জেরে ডেলেভারি বয় নাকি তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছে, একথা বলে ভিডিও শেয়ার করেন হিতেশা। ভিডিওটি নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর ডেলিভারি বয়ের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন নেটিজেনরা। এই গোটা ঘটনায় জোম্যাটো কর্তৃপক্ষ কামরাজকে কিছুদিনের জন্য শোকজ করে। কামরাজ এরপর পালটা একটি ভিডিও শেয়ার করে তাতে বলেন অপমান নয় শুধু জুতপেটা করেছে হিতেশাই। ঘটনার মোড় ঘুরতে তারপর আর বেশি সময় লাগেনি। রাতারাতি নেটিজেনদের টার্গেট হয়ে ওঠেন হিতেশা। বিবৃতিতে তাঁর উপরে চলতে থাকা আক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজের জীবন, ভাবমূর্তি, সম্মান ও মনের শান্তিকে ঝুঁকিতে ফেলতে চান না।

এদিকে বেঙ্গালুরুর বহু মিডিয়াতেও প্রচার করা হয়, কামরাজের FIR এর পর আর ওই ফ্ল্যাটে হিতেশাকে দেখা যায়নি। এই প্রশ্নের উত্তরে হিতেশা জানিয়েছেন, ”আমি বেঙ্গালুরুতেই আছি। এবং গত কয়েকটা দিন আমার কাছে বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কোনও তদন্তকারী সংস্থা নিশ্চয়ই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আসল সত্যিটা তুলে আনবেন। আপাতত আমি সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি।”

Advt