ঝুলিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। তিন তিন বার নেট ও দু’বার জেআরএফ(JRF) উত্তীর্ণ। সঙ্গে রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ও পিএইচডি। কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাতেও ছিল তাঁর নাম। কিন্তু নিয়োগপত্র হাতে পাননি তিনি। পরীক্ষার্থীর অভিযোগ শুধু তিনি একা নন, এরকম অনেকেই রয়েছেন তার দলে। সকলে মিলে তথ্যের আইনের অধিকার (RTI ACT) আবেদন করেছিলেন। সেখানেই জানা গিয়েছে, মেধা তালিকায় নাম নেই অথচ নিয়োগ পত্র পেয়ে দিব্যি চাকরি করেছেন অনেকেই। এবার নির্বাচনের মুখে কলেজ সার্ভিস কমিশনের (College Service Commission) নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি তথ্যের অধিকার আইনে জবাব পেয়ে ২০১৮ সালের কয়েকজন প্রার্থী এই দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছেন।এরপরই কলেজ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার উচ্চশিক্ষা দপ্তর, কলেজ সার্ভিস কমিশন এবং ইউজিসি পূর্বাঞ্চলীয় শাখায় এই বিষয়ে স্মারকলিপি জমা কলেজ অধ্যাপনায় চাকর প্রার্থীরা। তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের একটি সংগঠন এদিন বিকাশভবনে লিখিত ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্ত দাবি করে। সংগঠনের সম্পাদক হিমাদ্রি মণ্ডল বলেন, আরটিআই করে জানা গিয়েছে মেধা তালিকায় নাম না থাকলেও গণিত বিষয়ে একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভূগোল বিষয়ের একজনকে পিএইচডির নম্বর দেওয়া হয়নি। অনেককে জিআরএফ—এর নম্বর দেওয়া হয়নি। ইন্টারভিউতে ৪০ শতাংশ নম্বর রেখে প্রকৃত যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীদের নেট, সেট, এমফিল, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরেট, পাবলিকেশন, পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকলেও অধিকাংশক্ষেত্রে মেধা তালিকার পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা। উচ্চশিক্ষা দপ্তর, কমিশন ও ইউজিসির কাছে তাঁদের দাবি, মেধা তালিকার নাম বহির্ভূত যারা নিয়োগ পেয়েছে খুব শীঘ্রই তার উপযুক্ত তদন্ত হোক। সকল পরীক্ষার্থীর পুণর্মূল্যায়ন হোক বলে এদিন দাবি করেন তিনি।