পুরীর মন্দিরের কয়েক হাজার একর জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত, সমালোচনার মুখে রাজ্য 

0
2

জগন্নাথ মন্দিরের জমি(Puri Jagannath temple) বিক্রির উদ্যোগ নিল মন্দির কমিটি। মন্দিরের ৩৫.২৭২ একর জমি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের মদতে মন্দির কমিটির এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ওড়িশার মন্ত্রী প্রতাপ জেনা জানিয়েছেন, নবীন পট্টনায়ক সরকার পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ৩৫.২৭২ একর জমি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের জেরে দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে নবীন পট্টনায়ক সরকার।

বিধায়ক মোহনচরণ মাঝির প্রশ্নের উত্তরে প্রতাপ জেনা জানান, ‘সুমন নীতি’ (uniform policy) প্রয়োগের মাধ্যমে জমি বিক্রির পদ্ধতি ধাপে ধাপে শুরু হয়েছে। ভগবান জগন্নাথ দেবের নামে সব মিলিয়ে ৬০,৪২৬.৯৪৩ একর জমি রয়েছে ২৪টি জেলা জুড়ে। যদিও মন্দির কমিটি দাবি করেছে জমির পরিমান ৩৪,৮৭৬.৯৮৩ একর।

সেই জমির মধ্যে থেকেই ৩৫ একরের থেকে সামান্য বেশি পরিমাপ এই জমি বিক্রি করা হবে। জেনা বলেন, কটকের ভারতী মুটে জগন্নাথ ভূমির ৩১৫.৩৩৭ একর জমি এবং সেখানে তৈরি একটি ভবন ইতিমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছে ১১.২০ কোটি টাকায়। সেই টাকা জমা করা হয়েছে মন্দিরের অ্যাকাউন্টে। ওড়িশা ছাড়াও দেশের আরও ছ’টি রাজ্যে কয়েক হাজার একর জমি জগন্নাথ ভূমি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেই সব জমি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৩৯৫.৯৩০ একর, মহারাষ্ট্রে ২৮.২১৮ একর, মধ্যপ্রদেশে ২৫.১১০ একর, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৭.০২০ একর এবং বিহারে ০.২৭৪ একর জমি আছে।

 

 

 

প্রতাপ জেনা বলেন, ওড়িশার খুরদায় কাজু ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে ৫৮২.২৫৫ একর জমি লিজে দেওয়া রয়েছে, যেখান থেকে প্রতি বছর ৩ লক্ষ টাকা করে মন্দিরের ফান্ডে জমা পড়ে। জেনার পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দিরের জমিতে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যারা বসবাস করছে বা ব্যবসা করছে, সেই সমস্ত পরিবার বা ব্যবসায়ীকে একর প্রতি এককালীন দিতে হবে ৬ লক্ষ টাকা করে। তাহলেই সেই জমির মালিকানা পাবেন তিনি বা সেই পরিবার। ২০ বছরের বেশি কিন্তু ৩০ বছরের কম সময় ধরে বসবাস বা ব্যবসা করা পরিবারকে মালিকানা পেতে দিতে হবে একর প্রতি ৯ লক্ষ টাকা। ১২ বছরের বেশি কিন্তু ২০ বছরের কম সময় হলে, মালিকানা পেতে মন্দির কমিটিকে দিতে হবে একর প্রতি ১৫ লক্ষ টাকা।

মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের ফিনান্স কমিটি [Shree Jagannath Temple Administration (SJTA) finance committee] মার্চের শুরুতেই ২০২১-২২ আর্থিক বছরের বাজেট বরাদ্দ করেছিল ২০২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের মধ্যে মন্দিরের ফান্ড বাড়িয়ে ১০০০ কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে।

Advt