প্রার্থী বিতর্কের মাঝেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপির স্বপন দাশগুপ্ত

0
3

প্রবল সমালোচনার মুখে অবশেষে রাজ্যসভার (Rajyasabha) সাংসদ (MP) পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি (BJP) নেতা স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। আজ, মঙ্গলবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে বিজেপি নেতা তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এবারের বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) হুগলির তারকেশ্বর (Tarkeswar) কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন স্বপনবাবু।

তিনি প্রার্থী হওয়ার পরই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। স্বপন দাশগুপ্তর বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahuya Moitra)। মহুয়ার দাবি, “স্বপন দাশগুপ্ত শপথ নিয়েছিলেন ২০১৬ সালের এপ্রিলে। সংবিধানের দশম তফসিলে বলা রয়েছে, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য শপথগ্রহণ করার ৬ মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। এখন তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, ফলে এমনিতেই নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হয়ে যায়।”

অন্যদিকে, আইনজীবী তথা কংগ্রেস (Congress) নেতা অরুণাভ ঘোষ (Aruna ba Ghosh) জানান, স্বপন দাশগুপ্ত রাষ্ট্রপতি (President of India) মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি আবার বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী। নুন্যতম নৈতিকতা বোধ থাকলে এমন সিদ্ধান্ত নিতেন না। বিজেপি আসলে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদকে ভোটের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে। এরা লোক ঠকাচ্ছে। এদের কাউকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানান অরুণাভবাবু।

আর এই বিতর্ক চলার মাঝেই এদিন স্বপন দাশগুপ্ত তাঁর সাংসদ পদটি থেকে সরে দাঁড়ালেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর দাবিটি জোরালো ছিল বলেই হয়তো রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বপন দাশগুপ্ত।

এ বিষয়ে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, “বাংলার উন্নয়নের জন্য আমি ভোটের ময়দানে লড়াই করবো। কিছুদিনের মধ্যেই
তারকেশ্বর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেব। তাই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলাম”