বঙ্গ নির্বাচনে বাংলার ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে সব পক্ষই। নীলবাড়ি দখলে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও কাটমানি নিয়ে ঝাঁঝালো আক্রমণই এবারের নির্বাচনে মূল অস্ত্র বিজেপির(BJP)। সেই ধারা অব্যাহত রেখে সোমবার বাঁকুড়ার রানিবাঁধে ফের একবার সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। আদিবাসী অধ্যুষিত এই জেলায় গেরুয়া পতাকা ওড়াতে গালভরা প্রতিশ্রুতিও দিলেন বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
সোমবার রানিবাঁধের জনসভায় উপস্থিত হয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘মানুষ অনেক আশা করে বামেদের সরিয়ে তৃণমূলকে এনেছিল। মানুষ আশা করেছিল রাজনৈতিক হিংসা, দুর্নীতি বন্ধ হবে। তবে তা হয়নি। গত ১০ বছরে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হিংসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলায়।’ তাঁর দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের প্রকল্প থেকেও কাটমানি নিয়েছেন। আদিবাসীদের শংসাপত্র নেওয়ার জন্যও ঘুষ দিতে হয়।’ পাশাপাশি আদিবাসী ভোটকে নজরে রেখে এদিন রানিবাঁধে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেন শাহ। বলেন, ‘এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে জঙ্গলের অধিকার পাবেন এখানকার অধিবাসীরা।’ পাশাপাশি বাংলার একাধিক জায়গায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি সরব হতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। এদিন রানিবাঁধের সভায় সে প্রসঙ্গ উঠে এল অমিত শাহের গলায়। তিনি বলেন, ‘এই জেলার মানুষ ভীষণভাবে জলের সমস্যায় ভুক্তভোগী। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি বিজেপিকে ভোট দিন। আমরা ক্ষমতায় এলে পানীয় জলের প্রথম প্রকল্প বাঁকুড়াতেই গড়ে তুলব। আদিবাসী মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে কলের জল।’
আরও পড়ুন:বিজেপির নেতা নেই, তাই সাংসদদের আবার প্রার্থী করছে: অভিষেক
পাশাপাশি এ রাজ্যে চালু না হওয়া কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প নিয়েও তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করতে দেখা যায় অমিত শাহকে। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় কৃষক সম্মান নিধি লাগু করার পাশাপাশি অতীতের তিন বছরের ১৮০০০ টাকাও দেওয়া হবে প্রত্যেক আদিবাসীকে। চালু করা হবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প।’ পাশাপাশি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক তপশিলি আদিবাসী শিশুদের জন্য স্কুল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেন অমিত শাহ। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় নেটওয়ার্কে ভীষণ সমস্যা ফোনে কথা বলতে গেলে বারেবারে ফোন কেটে যায়। আমরা কথা দিচ্ছি আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে আদিবাসী অধ্যুষিত এই সমস্ত এলাকাগুলিতে প্রচুর মোবাইল টাওয়ার বসানো হবে। যাতে যোগাযোগের কোনওরকম সমস্যা না হয়।’