নন্দীগ্রামের সেই ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ আসলে বিজেপি নেতা। ‘খুঁটিতত্ত্বে’র প্রবক্তা চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়িতে ২৬ জানুয়ারি শুভেন্দু অধিকারী জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি সেরে তাঁর বাড়িতেই দুপুরে খেয়েছিলেন। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ বলেই জানা গিয়েছে চিত্তরঞ্জনকে। চিত্তরঞ্জন দাস নিজেকে ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ বলে দাবি করে সংবাদমাধ্যমের সামনে বয়ান দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, লোহার খুঁটিতে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজা ধাক্কা লাগাতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর বাড়ি প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। তিনি সক্রিয়ভাবে বিজেপি করেন।
ঘটনাস্থল বিরুলিয়া-ঘোলপুকুরিয়া সংযোগস্থল চৌমাথার মোড়। আর বিজেপি নেতা চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়ি গ্রামের একেবারে শেষে। সূত্রের খবর, শুক্রবার ওই নেতার বাড়িতে দেখা গিয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে স্বাগত জানিয়ে লেখা ব্যানার এখনও ঝুলছে। বাড়ির আশপাশে বিজেপির পতাকা উড়ছে। বাড়িতে ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাসের বউমা সুজাতা দাস এবং আট বছরের নাতনি। সুজাতা বলেন, তাঁদের ফিশারি রয়েছে। শ্বশুরমশাই সেই ফিশারিতে গিয়েছেন। কিন্তু ফিশারিতে গিয়েও চিত্তবাবুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, চিত্তরঞ্জন দাসের ছেলে দেবব্রত দাস বিজেপির যুব মোর্চার দায়িত্বে আছেন। একই সঙ্গে আইটি সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। চিত্তবাবুর বউমা জানান, গত ২৬ জানুয়ারি শুভেন্দুবাবু জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি সেরে তাঁদের বাড়িতেই দুপুরে খেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-প্রথম দফা ভোটেই ৭০ হাজার জওয়ান, এত বাহিনী কেন? উঠছে প্রশ্ন
এদিন বিরুলিয়া বাজারে তেলেভাজার দোকানের কিশোর সুমন জানা বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লোকজন যা বিবৃতি দিচ্ছেন, তার বেশিরভাগটাই ভিত্তিহীন। অনেকেই ঘটনাস্থলের ধারেকাছে ছিলেন না। তবুও নিজেদের ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ বলে দাবি করছেন। আসলে লোহার পিলারের কাছে গাড়ি যাওয়ার আগেই ঘটনাটি ঘটে গিয়েছিল। তবে, ভিড়ের চোটে গাড়ির দরজা আচমকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, নাকি কেউ ইচ্ছা করে চেপে দিয়েছিল, তা বলা কঠিন।’
বিরুলিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পরিতোষ জানা বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলছি, এটি সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। ভিড়ের মধ্যে বিজেপি তাদের লোকজন ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারপর ধামচাপা দেওয়ার জন্য ওদের লোকজন প্রত্যক্ষদর্শী সেজে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দিচ্ছে। ২ কিলোমিটার দূরে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও ওই বিজেপি নেতা কেন এসেছিলেন এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন দুর্ঘটনার তত্ত্ব নিয়ে সরব হলেন, তা সকলের সামনে আসা দরকার।’







































































































































