হাওয়া বদল! গেরুয়া শিবিরের নিজের গড় জঙ্গলমহল। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের সভাস্থলে ‘ভিড়’ না হওয়ায় কপালে ভাঁজ গেরুয়া শিবিরের। এদিকে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার আশা দেখছেন তৃণমূল নেতারা। ঝাড়গ্রামের মানুষের মন জেতা যে অতটাও সহজ নয়, তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে পদ্ম শিবির। জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিশ্রুতিই পালন করেননি তাঁরা। উল্টে বিজেপির প্রতি ক্ষুব্ধ আদিবাসীদের একাংশ। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এবার পালে উল্টো হাওয়া বইছে। একদিকে জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া তৃণমূল। অন্যদিকে সিপিআইএমের দিকেও পাল্লা বেশ ভারী। তাই জঙ্গলমহলে এবার হবে ত্রিকোণ লড়াই। তাই ঝাড়গ্রামের চারটি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

লোকসভা ভোটে নিজেদের আধিপত্য করে নিয়েছিল পদ্ম শিবির। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২০১৬-র নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভা আসনেই তৃণমূল প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন। তবে ধস নামে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে। নিজেদের পসার জমাতে শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। একইসময় ধস নেমেছিল বাম সংগঠনগুলির অন্দরেও। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার ৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি দখল করেছিল ২৪ টি আসন। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটেও ঝাড়গ্রামে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে তিনটি কেন্দ্রেই জয়লাভ করে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের ‘দুয়ারে সরকার’, স্বাস্থ্য স্বাথী’ প্রকল্প মন জিতেছে ঝাড়গ্রামের মানুষদের। তাই তৃণমূলের উপর ফের আস্থা জেগেছে জঙ্গলমহলের আমজনতার মনে। এমতাবস্থায় গেরুয়া শিবিরের কপালে ভাঁজ পড়েছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবিরের নেতাদের।































































































































