আজব কাণ্ড! সাংবাদিকদের করা প্রশ্ন পছন্দ হয়নি বলে জবাব এড়িয়ে উল্টে তাঁদের মুখে হ্যান্ড স্যানিটারজার স্প্রে করে দিলেন রাষ্ট্রপ্রধান! বিতর্কিত এই ঘটনা ঘটিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী (prime minister of Thailand) প্রয়ুথ চ্যান ওচা। তবে এবারই প্রথম নয়, আগেও নানা সময়ে নানা বিতর্কিত কাণ্ডকারখানা করে সমালোচিত হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা জেনারেল। তাঁর বদমেজাজের জন্য থাইল্যান্ডের মিডিয়া একাধিকবার তাঁকে নিয়ে সরব হয়েছে। এবার যেমন স্যানিটাইজার স্প্রে করেছেন, তেমনি আগে কখনও কলার খোসা ছুঁড়ে, আবার কখনও সাংবাদিকের কান টেনে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী। সেসব দৃশ্যও এখনকার মতই ভাইরাল হয়েছিল।
সাত বছর আগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় বিদ্রোহ করায় থাই মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রীকে গত সপ্তাহে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিসভার ঐ শূন্য পদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রায়ুথ অস্বস্তিতে পড়েন। মঞ্চে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিজ্ঞেস করার মতো আর কিছু আছে? এরপর ঐ তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি জানি না, আমি ওই তালিকা দেখিনি। এটা কি এমন কিছু নয়, যা প্রধানমন্ত্রীরই প্রথম জানা উচিত? জানা গিয়েছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে এরপরই ওই কাণ্ড ঘটান তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আরও বিপাকে অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা জেনারেল। ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন প্রয়ুথ চ্যান ওচা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সাংবাদিক সম্মেলনের শেষ পর্বে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে প্রশ্ন করায় বিরক্তিতে নিজের মুখ রুমালে ঢেকে পোডিয়াম থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে সামনে থাকা সাংবাদিকদের মুখে স্প্রে করা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চ্যান ওচা।






























































































































