বহু জল্পনার পর মোদি ব্রিগেডে যোগ দিয়েছেন বাঙালির মহাগুরু। তৃণমূল নেত্রী মমতার বিরুদ্ধে ‘জাত গোখরো’কে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। শুরুতেই গেরুয়া হাইকম্যান্ডের নির্দেশে বড় দায়িত্ব পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। একুশের মহাযুদ্ধের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হচ্ছে সদ্য BJPতে যোগদানকারী সুপারস্টারের কাজ।
তৃণমূল সুপ্রিমোর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শুভেন্দু সঙ্গী সুপারস্টার মিঠুন। মহাগুরুর ক্যারিশমায় প্রচারের সব আলো থেকে জনমত শুভেন্দুর পক্ষে নিয়ে আসার পরিকল্পনায় জোড়াফুল নেত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’। ১২ মার্চ নন্দীগ্রামে প্রাক্তন বিধায়কের হয়ে প্রচারে ছোবল দিতে চলেছেন ‘জাত গোখরো’।
যদিও একদা নকশালপন্থী মিঠুনের রাজনৈতিক ‘পরিক্রমা’ নিয়ে ছোঁড়া হচ্ছে একের পর এক ব্যঙ্গ-বাণ। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাকমুহূর্তে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শাণিত আক্রমণ চালাচ্ছেন অনেকেই। যদিও, এ সব শুনে খোদ মিঠুন জানিয়েছেন,তাঁর এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।
২০০৬ সালে তাঁর অভিনীত ছবি ‘অভিমুন্য’র সংলাপ ধার করে বিজেপি-র হয়ে ‘জাত গোখরো’ স্লোগান দিয়েছিলেন মিঠুন। সেই সংলাপকে হাতিয়ার করে তাঁকে পাল্টা খোঁচা দেওয়াও চলছে নেটমাধ্যমে।ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে মিঠুনের নতুন রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে চলছে ব্যঙ্গের বিস্ফোরণ। যেমন একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, দরজা ছুঁয়ে রয়েছে একটি গোখরো সাপ। ছবিতে স্পষ্ট করে কোনও ইঙ্গিত করা হয়নি বটে। তবে ব্রিগেড সমাবেশে মিঠুনের ‘জাত গোখরো’ সংলাপের প্রেক্ষিতে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে ওই ছবিতে কাকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে। আরও একটি মিমের বক্তব্য, ‘গোখরো তাড়াতে কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার করুন’। ওই মিমে একটি মিঠুনের ছবি দেওয়া কার্বলিক অ্যাসিডের একটি বোতলও দেখানো হয়েছে। কেউ আবার ‘ডিস্কো ড্যান্সার’-এর এই রাজনৈতিক মতাদর্শ বদলের সঙ্গে টেনেছেন নাচের ভঙ্গিমা বদলের তুলনা।
সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া মিঠুনের হয়ে অবশ্য ব্যাট ধরেছেন দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, ‘‘মিঠুনদাকে নিয়ে যে রসিকতা করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ওঁর মতো এমন এক জন বড় মাপের মানুষকে নিয়ে এমন রসিকতা করা উচিত নয়।’’
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.