বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেই এই নাম, ‘মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধন করলেন মোদি

0
3

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও জোড়ালো হল। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ‘মৈত্রী সেতু’-র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি এদিন ত্রিপুরার উনকোটি জেলার সদর শহর কৈলাশহরের সঙ্গে খোয়াইয়ের জেলাসদরের সংযোগকারী ২০৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি।

ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত ফেনি নদীর উপর ‘মৈত্রী সেতু’ তৈরি করা হয়েছে। ত্রিপুরার সাব্রুম অঞ্চল এবং বাংলাদেশের রামগড়ের অঞ্চলের মধ্যে এই সেতু ১.৯ কিলোমিটার লম্বা। এই সেতু তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদ এই সেতু তৈরি করেছে। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি এই সেতুর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তৈরি এই সেতুটির গুরুত্ব অপরিসীম। দুই দেশের মধ্যে এটি নয়া বাণিজ্য পথ হয়ে উঠবে।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, “ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেই ‘মৈত্রী সেতু’ নাম দেওয়া হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে এই সেতু।” অন্যদিকে ‘মৈত্রী সেতু’ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভিডিও কনফারেনসিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, এই সেতুটির মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে ঢাকার সদিচ্ছা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন-শ্বশুরবাড়িতে মহিলার উপর আঘাতের জন্য দায়ী তাঁর স্বামী জানাল সুপ্রিম কোর্ট

এদিন ত্রিপুরার উনকোটি জেলার সদর শহর কৈলাশহরের সঙ্গে খোয়াইয়ের জেলাসদরের সংযোগকারী ২০৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। এর ফলে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প পথ তৈরি হবে। ২০৮ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদকে। এই সড়ক তৈরির খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এছাড়া ত্রিপুরায় আরও কয়েকটি সড়ক, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি হওয়া ৪০,৯৭৮টি বাড়ি উদ্বোধনও করেন মোদি। ত্রিপুরার সাব্রুম অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ‘মৈত্রী সেতু’ চালু হওয়ার ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পথ সুগম হবে।

Advt