ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব স্পষ্ট, পামেলা গ্রেফতারের আগেই পুলিশকে মেইল রাকেশ ঘনিষ্ঠ লাস্যময়ীর স্বামীর

0
1

পামেলা কোকেন কাণ্ডে নয়া মোড়। লালবাজার সূত্রের খবর, বিজেপি যুবনেত্রীর গ্রেফতারির ৪৮ ঘন্টা আগে সন্দীপ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি একটি মেইল করেন কলকাতা পুলিশের এক বড় কর্তাকে। যেখানে দাবি করা হয়, কোনও এক মহিলাকে কোকেন পাচারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় চক্রান্ত চালাচ্ছেন বিজেপির বাহুবলী নেতা রাকেশ সিং। বিষয়টিকে নজরে রাখলেও প্রথনে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। কিন্তু সেটাই হল। লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক সমেত নিউ আলিপুরে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর। তাহলে কি পরিকল্পনামাফিক ফাঁসানো হয়েছে পামেলাকে? উঠছে প্রশ্ন।

এদিকে গতকাল, সোমবার রাতেই রাকেশ সিংকে মাদক পাচারের অভিযোগে সল্টলেক থেকে গ্রেফতার হয় অমৃতা সিং ( প্রিয়াঙ্কা সিং) ওরফে সুইটি নামক এক লাস্যময়ী যুবতীকে। জানা গিয়েছে, মেল প্রেরক সন্দীপ আগরওয়াল সুইটির স্বামী। সম্প্রতি রাকেশ সিংকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অর্থাৎ, বিজেপি নেতা রাকেশ সিং একদিকে যেমন বাহুবলী, ব্যবসায়ী, মাদক চক্রের চক্রী আবার সুন্দরী মহিলাদের প্রতি দুর্বল তত্ত্ব খাড়া হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, অমৃতা সিং (প্রিয়াঙ্কা) ওরফে সুইটির মাধ্যমেই রাকেশ বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীকে (Pamela Goswami) ফাঁসানোর জন্য কোকেন কিনিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। সে গ্রাম প্রতি ৯৫০০ টাকা দরে মাদক কিনে রাকেশকে সরবরাহ করত। আজ, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে অমৃতাকে (প্রিয়াঙ্কা) ১৩ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক রানা দাম। অন্যদিকে, রাকেশ সিংয়ের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায়, আজ তাঁকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাকেশ ও অমৃতাকে (প্রিয়াঙ্কা) মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, শহরের বেশ কিছু নাইট ক্লাবে পেশায় মডেল সুইটির নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেখান থেকেই বিপুল টাকার মাদক সংগ্রহ করে সে বিজেপির বাহুবলী নেতা রাকেশ সিংকে পাচার করত বলে অভিযোগ। পুলিশি জেরায় অমৃতা (প্রিয়াঙ্কা) আরও জানায় যে প্রতি সপ্তাহে প্রায় গ্রাম পিছু ৯৫০০ টাকার মাদক কিনত সে। নাইট ক্লাবগুলির বেশকয়েকজন ডিজেদের সঙ্গেও তার পরিচয় ছিল। তবে এই বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে রাকেশ সিং কী করত তা জানতে ইতিমধ্যেই সুইটিকে জেরা করছে পুলিশ। পাশাপাশি নাইট ক্লাবগুলির উপরেও নজর রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মাদক চক্রে বড়সড় সমস্যায় পড়েছে রাকেশ সিং।

Advt