খবরের জেরে অবশেষে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেল ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর পরিবার। পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিক পিতা। অর্থের অভাবে ভুগছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক বিষ্ণু দাস। এর মধ্যে নাবালক শিশু পুত্রের ক্যান্সার ধরা পড়ে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুদাস। ছেলের চিকিৎসার জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন তিনি, সেই সময় পাশে পাননি কাউকেই। খবরে প্রচার হওয়ার পর অবশেষে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান।
সমগ্র লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। এরকমই এক পরিযায়ী শ্রমিক হলেন বিষ্ণু দাস। ভিন রাজ্যে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে ছোটো-খাটো কাজ করে পরিবারের মুখে দু- বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে আরও এক বিপর্যয় নেমে এল এই পরিবারটিতে। ছেলের ডান কানে ধরা পড়ল ক্যান্সার। এই দুঃসময়ে কীভাবে চিকিৎসা করাবেন তা ভেবেই দিশেহারা বিষ্ণু দাস। না আছে অর্থ আর না আছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এই বিপর্যয়ের মধ্যে সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। খবর পাওয়া মাত্রই বিডিও সাহেবের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেন তিনি। এরপর বিডিও অনির্বাণ বসুর তৎপরতায় খুব দ্রুতই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেয়ে যান বিষ্ণু দাস।
আরও পড়ুন-নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, পুরনো শত্রুতা থেকেই মন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা
বুলবুল খান এই পরিবারটির সাথে দেখা করে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে কেমোথেরাপির জন্য যে খরচ হবে তার দায়িত্বও তিনি বহন করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। এইদিন তিনি নিজ খরচে নিজ দায়িত্বে পরিবারটিকে মালদহে নিয়ে যান। মালদহ জেলা শাসকের অফিস থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন। টাকার অভাবের সময় কীভাবে চিকিৎসা করাবেন তা ভেবেই আকুল হয়েছিলেন বিষ্ণু, অবশেষে পরিত্রাতা হয়ে এলেন জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। শুধু বিষ্ণু দাসই নয় এলাকার আরও অনেক দরিদ্র, অসহায় মানুষ থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিক বিপদে আপদে বুলবুল খানকে পাশে পেয়েছে বলেই খবর স্থানীয় সূত্রে। সমগ্র লকডাউনে যথা সম্ভব মানুষের বিপদে আপদে তাদের পাশে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।
মালদহ জেলার তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, “সংবাদমাধ্যমের দ্বারা আমি খবরটি জানতে পারি। কয়েকদিনের মধ্যে বিডিও সাহেবের সাথে কথা বলি। আজকে মালদা ডি এম অফিসে এসেছি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা হয়ে গেছে। আমি আমার তরফ থেকে কিছুটা আর্থিক সাহায্য করেছি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পাঁচ লাখ অবধি সাহায্যের কথা বলা আছে। এরপর যা যা লাগবে সেই সব বিষয়ে আমি আমার তরফ থেকে যথাসম্ভব চেষ্টা করব। কেমোথেরাপির যা খরচ লাগে সেটাও আমি দেখবো।”
আরও পড়ুন-বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা ঘিরে উত্তপ্ত উত্তরপাড়া
বিষ্ণু দাস জানান, “আমার সাথে বুলবুল দা এসেছিলেন। ওনার সহায়তায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা পেয়ে গেছি। বুলবুল দা জানিয়েছেন পরবর্তী খরচাতেও সাহায্য করবে। ধন্যবাদ জানাই বুলবুলদা ও বিডিও সাহেব এবং তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দিদিকে।”