মুখে যতই সংযুক্ত মোর্চার কথা বলা হোক না কেন, কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে আব্বাসের দল ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট'(Isf)-এর বোঝাপড়া যে মোটেই মসৃণ নয়, তা স্পষ্ট ধরা পড়ল রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে। বাম-কংগ্রেসের (Left-Congress) ব্রিগেড সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir ranjan Chowdhury)। তাঁর বক্তব্যের মধ্যেই মঞ্চে ওঠেন আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui)। উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে চিৎকার তো ছিলই, একইসঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত বাম নেতারা উঠে দাঁড়িয়ে আব্বাসের সঙ্গে হাত মেলানোর ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ বক্তব্য থামিয়ে রাখেন অধীর। তারপর মাঝপথে বক্তব্য বন্ধ করে পোডিয়াম ছাড়তে চান। কিন্তু সিপিআইএম (Cpim) নেতা মহম্মদ সেলিম (Md Selim), বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর (Biman Basu) হস্তক্ষেপে ফের বক্তব্য শুরু করেন তিনি। তবে, তাঁর অসন্তোষ স্পষ্ট ধরা পড়ে।
অধীর বলেন, “এত বড় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ জীবনে প্রথমবার। যাঁরা বোঝাতে চাইছে নির্বাচন হবে তৃণমূল-বিজেপি, এই সভা প্রমাণ করছে সংযুক্ত মোর্চা তৃণমূল-বিজেপিকে ছাপিয়ে যাবে”। ব্রিগেডের ভিড় জেতার মনে আশা জাগিয়েছে এ কথা প্রকাশ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “আগামী দিনে শুধু সংযুক্ত মোর্চা থাকবে। সকাল দেখলে বোঝা যায় দিন কেমন যাবে। আজকের সভা প্রমাণ দিল সরকারের বদল এখন শুধু সময়য়ের অপেক্ষা”।
আরও পড়ুন: আমাদের জোটের চেয়েও মানুষের কাছে পৌঁছনোই সবচেয়ে জরুরি: সূর্যকান্ত
মুখে যতই সংযুক্ত মোর্চার কথা বলুন অধীর, আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে তাঁদের দলে যে এখনও অস্বস্তি রয়েছে তা বেশ বোঝা গেল অধীরের ক্ষোভে। সুতরাং এদিনের ব্রিগেড সমাবেশের পরে সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান কী দাঁড়ায়? তার দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।





































































































































