সায়েন্স সিটিতে (Science City) আজ, বৃহস্পতিবার জেপি নাড্ডার (j P Nadda) রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সভা। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা আজকের সভায় থাকতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty), বাংলার মহাগুরু। সেই সঙ্গে প্রশ্ন, বাংলার আর কোন কোন তারকাদের দেখা যেতে পারে বুদ্ধিজীবী সভার আড়ালে রাজনৈতিক সভায়!
বিজেপির (BJP) একটি মহল থেকে মিঠুনের সম্ভাব্য উপস্থিতির কথা আড়ালে আবডালে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু নিশ্চিত করে কেউই এই বিষয়ে বলতে পারছেন না। অন্যদিকে মিঠুনের তরফ থেকেও কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত মেলেনি। নাগপুরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের (RSS Chief Mohan Vagabat) সঙ্গে দু’দুবার সাক্ষাৎকার নিয়ে মিঠুন নিজেই এই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎ মিঠুন যথারীতি ‘ব্যক্তিগত সৌজন্যমূলক’ বলে এড়িয়ে গেলেও নানা সম্ভাবনা ডালপালা মেলছে। একটি মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) টিকিটে রাজ্যসভার এমপি (Rajyasabha MP) হওয়ার পর মিঠুনের সেই ঐতিহাসিক ডায়ালগ… আমার গায়ে যদি মানুষের রক্ত থাকে তাহলে ‘দিদি’র এই কৃতজ্ঞতা সারাজীবন মনে রাখব। যদিও চিটফান্ড চক্রে (Chitfund) পড়ে মিঠুনের অস্বস্তি, দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা এবং শেষে সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার পর মনে হয়েছিল তিনি বুঝি আর রাজনীতির মঞ্চে থাকবেন না।
কিন্তু বাংলার ভোট যত এগোচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে ভাসছে। অভিনয় সায়াহ্নে আসা মিঠুনের যে রাজনৈতিক ক্ষিদে এখনও মরেনি, তা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বিজেপির দিল্লির এক নেতা ফোনে বললেন, নাড্ডা-অমিত শাহকে (Amit shah) দিয়ে বাঙালি সেন্টিমেন্ট তৈরি করা যাচ্ছে না। তাই মিঠুন সহ আরও কয়েকজনের নাম ভাবা হয়েছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) অসুস্থতার পর রাজনৈতিক জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। তাই ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে নতুন স্ট্র্যাটেজি ভাবতে হয়েছে। পাল্টা, শাসক দলের ধারণা, উপেক্ষিত মিঠুনকে যথাযথ স্বীকৃতি দিয়েছেন তাঁরাই। সাংসদ করেছেন। তিনি সাংসদ পদ ছেড়েছেন সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু যারা কোনওদিনও বাঙালি মিঠুনকে প্রচারের আলো দিতে চাননি, সেই গেরুয়া শিবিরে মহাগুরু যদি ক্ষমতার লোভে যান, তবে তা হবে অকৃতজ্ঞতার চরম উদাহরণ।
মিঠুন যদি নাও আসেন, বাংলার ভোটে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা ভাসিয়ে রাখতে যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার তা মানতেই হবে।