নিখোঁজ ১৩৬ জনকে মৃত ঘোষণা উত্তরাখণ্ড সরকারের, ভেঙে পড়েছেন বাংলার ৩ যুবকের বাড়ির সদস্যরা

0
3

চামোলিতে নিখোঁজ ১৩৬ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। চামোলির যোশীমঠের কাছে হিমবাহ ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন বাংলার তিন যুবক। তাঁরা কাজে গিয়েছিলেন সেখানে। মহিষাদলের লক্ষ্যা গ্রামের নিখোঁজ থাকা দুই ভাই লালু জানা (৩০) ও বুলা জানা (২৭) এবং চক দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের সুদীপ গুড়িয়া (২৭)। নিখোঁজ ১৩৬ জনকে উত্তরাখণ্ড সরকার মৃত বলে ঘোষণা করার পর বাংলার ওই যুবকদের পরিবারের সদস্যদের আপেক্ষ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অনেকের মৃত্যু হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে শেষ দেখার সুযোগটুকুও রইল না।

আরও পড়ুন-উদ্বেগ বাড়ছে,করোনার নয়া স্ট্রেনে দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজার ছাড়ালো

উত্তরাখণ্ডের নির্মীয়মাণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ‘ওম মেটাল’ নামে একটি সংস্থার ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন মহিষাদলের লক্ষ্যা গ্রামের বাসিন্দা লালু জানা। কাজে যোগ দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ভাই বুলাকেও সেখানে নিয়ে যান তিনি। তারপর প্রতিবেশী যুবক চকদাড়িবেড়িয়ার সুদীপ গুড়িয়াকেও কাজ দেন। তিনজনে একইসঙ্গে থাকতেন। কিন্তু ৭ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

অল্প আশা নিয়েই গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ তিনজনের পরিবারের সদস্যরা উত্তরাখণ্ডে গিয়েছিলেন। তিনদিন থাকার পর ১৬ তারিখ সেখান থেকে ফিরে আসেন। তারপরেও মিরাকেলের আশায় ছিল মহিষাদলের দু’টি পরিবার। কিন্তু,মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ড সরকার সরকারিভাবে নিখোঁজদের মৃত ঘোষণা করার পর ক্ষীণ আশাটুকুও আর রইল না। লালু ও বুলারা চার ভাই। দুই ছেলের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তাঁদের বাবা ধ্রুবগোপাল জানা এবং মা দেবীরানি জানা ভেঙে পড়েছিলেন। মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ড সরকারের ঘোষণার খবরে ওই পরিবার আরও ভেঙে পড়েছে।

Advt

আরও পড়ুন-যে কোনও দিন সংসদ ভবন ঘেরাও করতে পারে ৪০ লক্ষ ট্রাক্টর, হুঁশিয়ারি টিকায়েতের

চক দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের নিখোঁজ সুদীপ গুড়িয়ার দাদা প্রদীপ গুড়িয়া বলেন, দু’বছর ধরে ভাই উত্তরাখণ্ডে ছিল। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি এসেছিল। লকডাউন শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে আবার সেখানে ফিরে গিয়েছিল। এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু, ৭ ফেব্রুয়ারি হিমবাহ ধসের পর থেকে ভাই নিখোঁজ। উত্তরাখণ্ড সরকার মৃত ঘোষণা করায় আমাদের আর কোনও আশা রইল না। জেলা প্রশাসনের এক অফিসার বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে ওই দু’টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।